ডোপিংয়ে নিষিদ্ধ বাংলাদেশের পেসার শহীদুল
Published : Friday, 15 July, 2022 at 12:00 AM
ডোপিংয়ের
কারণে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ১০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের
পেসার শহীদুল ইসলাম। আইসিসির অ্যান্টি ডোপিং কোড অনুযায়ী তাকে এই শাস্তির
আওতায় আনা হয়েছে।
বুধবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)
শহীদুলের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বলা হয়েছে আইসিসি
অ্যান্টি-ডোপিং কোডের ধারা ২.১ লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। এই
অপরাধে আগামী ১০ মাস যে কোনও পর্যায়ের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই
পেসারকে।
গত ৪ মার্চ ঢাকায় অ্যান্টি ডোপিং ইউনিটের কাছে পরীক্ষার জন্য
স্যাম্পল দেন তিনি। সেই স্যাম্পল পরীক্ষা করে এর মধ্যে নিষিদ্ধ ক্লোমিফেন
পাওয়া গেছে। যা আসলে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং (ওয়াডা) কর্তৃক নিষিদ্ধ একটি
উপাদান।
২৭ বছর বয়সী এই পেসার অপরাধ স্বীকার করেছেন। তবে শহীদুলের কোনও
অবহেলা কিংবা চিহ্নিত কোনো ভুল ছিল না। মূলত অসাবধানতাবশত নিষিদ্ধ পদার্থটি
গ্রহণ করেছেন।
শহীদুল আইসিসিকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছিলেন যে, নিষিদ্ধ
পদার্থ ব্যবহার করে তার খেলাধুলার পারফরম্যান্স বাড়ানোর কোনও উদ্দেশ্য ছিল
না। এই কারণেই মাত্র ১০ মাসের শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাকে। তবে এই শাস্তি
শুরু হবে পেছানো তারিখ ২৮ মে থেকে। ওই দিনই প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা
হয়েছিল তার ওপর। এখন তিনি ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ পাবেন।
অথচ
ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন। তিন
ফরম্যাটের স্কোয়াডে নিয়মিত ডাক পেলেও কেবলমাত্র একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ
খেলার সুযোগ পেয়েছেন। গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের
ক্রিকেটে অভিষেক হয় শহীদুলের। অভিষেক ম্যাচে ৩৩ রানে নেন ১ উইকেট। চলমান
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলেও ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু ইনজুরির কারণ দেখিয়ে শেষ
পর্যন্ত যেতে পারেননি। ২৭ বছর বয়সী সর্বশেষ বিপিএলেও কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়ান্সের জার্সিতে দারুণ বোলিং করে দলকে শিরোপা জেতাতে ভূমিকা
রেখেছিলেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটের দারুণ পারফরম্যান্সই তাকে জাতীয় দলে ঢোকার
পথটা তৈরি করে দেয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে শহীদুল আগামী দশ মাস সব ধরনের
ক্রিকেট খেলা থেকে বঞ্চিত হবেন।