ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
রেকর্ড জয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
Published : Friday, 15 July, 2022 at 12:00 AM
ওয়ানডে ক্রিকেটের থিম সং কানে বাজতেই যেন ভিন্ন দল হয়ে যায় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুঃস্বপ্নের টেস্ট ও টি-২০ সিরিজ কাটানো দল ওয়ানডে ফরম্যাটে ভিন্ন মেজাজে। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটের জয়ের পর দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ৯ উইকেটের রেকর্ড জয় তুলে নিয়েছেন তামিমরা। এক ম্যাচ হাতে রেখে নিশ্চিত করেছে সিরিজ।
ওয়ানডের মেজাজটা শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নয় বাংলাদেশ দেখিয়েছে সর্বশেষ সাত সিরিজে। যার ছয়টিই ঘরে তুলেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দু'বার সহ হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কিউইদের বিপক্ষে পরাজিত সিরিজেও চিনিয়েছে টাইগার্স ব্র্যান্ড অব ওয়ানডে ক্রিকেট।
তবে অল্প রান তাড়া করতে নেমে ওয়ানডে ফরম্যাটে প্রথম ১০ উইকেটের জয় পাওয়া হলো না তামিমদের। ৯ উইকেটের জয় আগেও চারবার পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে হাতে ২৯.২ ওভার রেখে জয় তুলে নেওয়ায় এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ২৩.৩ ওভারে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৫ সালে ২৬.১ ওভারে জয় ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়।
টাইগারদের সিরিজ জয়ের পথটা টস দিয়েই এগিয়ে গিয়েছিল। গায়নার উইকেট-কন্ডিশনে টস জয় মানে অর্ধেক ম্যাচ জয়। শুরুতে বোলিং নিয়ে তামিম এগিয়ে গিয়েছিলেন। সাত উইকেট নিয়ে পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ এবং মেহেদি মিরাজ। তাদের ঘূর্ণিতে ৩৫ ওভারে ১০৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্যারিবীয়দের ওপেনিং জুটি সাবধানী শুরু করে ১০ ওভার পার করে। প্রথম উইকেটে তোলে ২৭ রান। কাইল মেয়ার্সকে ১৭ রানে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন তাসকিন আহমেদের জায়গায় দলে ঢোকা মোসাদ্দেক হোসেন। এরপর ধস নামে ক্যারিবীয় শিবিরে। নাসুম একে একে তুলে নেন সামারাহ ব্রুক (৫), শেই হোপ (১৮) এবং নিকোলাস পুরানকে (০)।

এরপর আক্রমণে এসে উইকেট নেন পেসার শরিফুল ইসলাম। শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোভম্যান পাওয়েল (১৩)। আকিল হোসাইন রান আউট হন। বাকি চার উইকেট তুলে নেন মেহেদি মিরাজ। তিনি ফেরান ব্রেন্ডন কিং (১১), রোমারিও সেইফার্ড (৪), আলজারি জোসেপ (০) এবং গুডাকেশ মতিকে (৬)। কেমো পল ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু করেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল এবং নাজমুল শান্ত। বাঁ-হাতি স্পিন সামলাতে লিটনকে পরে নামানো হয়। শান্ত ওই সুযোগ নিয়ে দলকে ৪৮ রানের জুটি দেন। পথ এগিয়ে দেন অর্ধেকটা। ফিরে যাওয়ার আগে করেন ২০ রান। বাকি পথটা নির্বিঘ্নে পাড়ি দেন তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। অধিনায়ক তামিম খেলেন ৬২ বলে সাত চারে ৫০ রানের ইনিংস। সাবলীল ব্যাটিং করা লিটন ২৭ বলে ছয় চারে ৩২ রান করেন।