চরম
রাজনৈতিক সংকট ও সহিংসতা চলছে শ্রীলঙ্কায়। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে
পালিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন আন্দোলনকারীদের দখলে,
জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে, পথে পথে সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে- রীতিমতো
গৃহযুদ্ধের মতো অবস্থা দ্বীপরাষ্ট্রটিতে।
তারপরও এশিয়া কাপ আয়োজনের
ব্যাপারে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। আগস্টের শেষ দিকে
শুরু হওয়ার কথা ছয় জাতি এ টুর্নামেন্ট। তবে লঙ্কান বোর্ড আত্মবিশ্বাসী হলেই
তো হবে না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
এই
চরম সংকটকালীন সময়ে শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ আয়োজন করতে পারবে কিনা, সে
সিদ্ধান্ত নিতে শুক্রবার বৈঠকে বসার কথা এসিসির। লঙ্কানদের এই
আত্মবিশ্বাসের পেছনে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের অভিজ্ঞতা। ক'দিন আগে এই
সহিংস পরিস্থিতির মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সফলভাবে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ
আয়োজন করে তারা।
লঙ্কান বোর্ডের সেক্রেটারি মোহন ডি সিলভা গণমাধ্যমকে
জানিয়েছেন, এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও ক্রিকেটের ব্যাপারে দেশের সবাই
এক। যে কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটি এই চরম অস্থির অবস্থার মধ্যেও
কোনো ধরনের বাধাবিপত্তি ছাড়া আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে।
মোহন ডি সিলভা আরও
একটি কারণ দেখিয়েছেন, এশিয়া কাপের আগে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ খেলবে
পাকিস্তান। এরই মধ্যে পাকিস্তান দল সেখানে পৌঁছে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও
খেলে ফেলেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিশ্চিত করেছে যে, এই
অস্থিরতার মধ্যেই তারা টেস্ট সিরিজটি খেলবে।
এশিয়া কাপ আয়োজনেও কোনো
সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন মোহন ডি সিলভা, 'এখন পর্যন্ত আমি বলতে পারি
যে, শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ আয়োজনের ব্যাপারে আমরা ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। আমরা
মাত্রই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ আয়োজন করলাম, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজও আয়োজন
করব।'
এসিসি থেকে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে তাদের ওপর কোনো
চাপ নেই বলেও জানান তিনি। ২৭ আগস্ট শুরু হওয়ার কথা ছয় জাতির এশিয়া কাপ।
ফাইনালের সম্ভাব্য সূচি ১১ সেপ্টেম্বর। এর আগে ২০ থেকে ২৬ আগস্ট হংকং,
কুয়েত, সিঙ্গাপুর ও আরব আমিরাতকে নিয়ে একটি বাছাই পর্ব হওয়ার কথা।