মনপুরায় ভেসে আসা পাথর বোঝাই নৌযান ঘিরে চাঞ্চল্য
Published : Saturday, 16 July, 2022 at 12:00 AM
ভোলার মনপুরা উপজেলার বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ভেসে আসা নাবিকবিহীন একটি পাথর বোঝাই নৌযান ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিচ্ছিন্ন চারনিজাম এলাকায় নৌযানটি প্রথম দেখা গেলেও এখনও হেফাজতে নেয়নি প্রশাসন। এ সুযোগে নৌযানটিতে ট্রলার ঠেকিয়ে মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে।
নৌযানটিতে যাওয়া লোকজন জানিয়েছে, এর গায়ে এক জায়গায় ইংরেজিতে ‘আল কুবতান’ লেখা রয়েছে।
দুর্গম এলাকা ও সমুদ্র উত্তাল থাকায় নৌযানটি হেফাজত নিতে দেরি হচ্ছে বলে জানান মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকা চরফ্যাসনের ইউএনও আল নোমান।
বৃহস্পতিবার রাতেই নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশকে এ ব্যাপারে অবগত করা হয়েছে জানিয়েছে তিনি বলেন, দুর্গম সাগর পথ তাই জাহাজটি হেফাজতে নিতে দেরি হচ্ছে। দ্রুত হেফাজতে নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে শুক্রবার সকালে ‘আল কুবতানের’ তদারকি করতে চরমানিকা কোস্ট গার্ডের একটি টিম ঘটনাস্থলে রওয়ানা হয়েছে বলে জানান মনপুরার কোস্ট গার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মো. আসলামুল হক। তবে নেটওর্য়াক সমস্যায় চরমানিকা কোস্ট গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে চরনিজামের পূর্বপাশে নৌযানটি বঙ্গোপসাগরে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে সেটি চরনিজামের পূর্বপাশের চরে আটকে পড়ে।
চরনিজামের স্থানীয় বাসিন্দা সামসুদ্দিন সাগর বৃহস্পতিবার প্রথমে নৌযানটি দেখতে পান। তিনিসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক কৌতুহল নিয়ে ট্রলারে করে নৌযানটিতে যান। তারা নৌযানটিতে বিপুল বোল্ডার পাথর ও দুটি ভেকু দেখতে পান। তখনই বিষয়টি ৩ নম্বর উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন এবং উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন তারা।
তবে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রশাসনের কোনো পর্যায়ের লোকজন নৌযানটির নিয়ন্ত্রণ নেননি বলে জানান চরনিজামের একাধিক বাসিন্দা।
কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন ভোলার মিডিয়া কর্মকর্তা ল্যাফটেন্যান্ট সাফিউল কিনজল বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি বার্জ। এটিতে কোনো ইঞ্জিন নেই, তাই নাবিকও নেই। এই বার্জের উপর মালামাল নিয়ে অন্য জাহাজ দিয়ে টেনে আনা হয়।
“ধারণা করা হচ্ছে অন্য জাহাজ দিয়ে টেনে নেওয়ার সময় এর চেইন বা টানা ছিঁড়ে গেছে। তাই ভাসতে ভাসতে এখানে চলে এসেছে।”
কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা আরও জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোস্ট গার্ড সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। পুরো বিষয়টি কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হচ্ছে।