ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট হাউজিং এস্টেটের একটি বাসা থেকে সবুজ ঢালী (২২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে হাউজিং এলাকার বি-ব্লকের অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেনের বাসার দোতলার একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত সবুজ ঢালি মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি থানার বানিয়া গ্রামের আব্দুল হাসেম ঢালির ছেলে। তার লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। সেখানে তিনি সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে মৃত মায়ের কাছে চলে যাওয়ার কথা লিখে যান।
সবুজের ভাই জসিম ঢালি জানান, স্ত্রী, সন্তান ও ছোট ভাইকে নিয়ে ওই ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। রাত ৮টার দিকে বাড়ির মালিকের ছেলে ফোন করে জানায় তার বাচ্চারা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আপনার বাসার ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকানো। বাচ্চাগুলো ঘরে ঢুকতে পারছে না। তাছাড়া বাচ্চাদের মা পার্লারে চাকরি করেন। তিনিও বাসায় নেই। এ খবর পেয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ছোট ভাইয়ের লাশ রশিতে ঝুলতে দেখেন।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর আগে একটি চিরকুটে সবুজ লিখেছে ‘আমি খারাপ তাই চলে গেলাম। সবাই আমাকে মাফ করে দেবেন। আমি জানি না আমার কি হবে? ০১৬০৮****** নম্বরে আমি ওর কাছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাই। ভাই মাফ করে দেবেন। আমি মায়ের কাছে চলে গেলাম।’ এটাই ছিল তার শেষ কথা।
নিহতের ভাবি লিজা বেগম জানান, গত ৪ মাস হলো তারা এখানে ভাড়া উঠেছেন। ৩ মাস যাবত তার দেবর তাদের সাথেই থাকছেন। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে দুজনে খাওয়া-দাওয়া করে তিনি পার্লারে কাজে চলে যান। বিকেল ৪টা ১৬ মিনিটে সবুজ তাকে ফোন করে জানতে চায় রান্না করতে হবে কি না? আর আমাদের আসতে দেরি হবে কিনা? এতটুকুই তার সাথে শেষ কথা ছিল।
কোতয়ালি থানার এসআই মো. বাশার জানান, ডাইনিং রুমের ফ্যানের সঙ্গে রশিতে ঝুলে সবুজ আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এসময় পাশের রুমের ওয়ারড্রপের উপর রাখা নিহতের মানিব্যাগের মধ্যে ওই চিরকুট পাওয়া যায়। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।