দেশের সার্বিক সংকট এড়াতে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। স্পিকারের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
জনগণের অভ্যুত্থান থেকে বাঁচতে বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিদেশে পালিয়ে গিয়ে স্পিকার মাহিন্দা আপে আবেওয়ারদেনের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে পদত্যাগের চিঠি পাঠান গোতাবায়া রাজাপক্ষে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) তার পদত্যাগপত্র পার্লামেন্টে গৃহীত হয়।
গত সপ্তাহে হাজার হাজার সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারী কলম্বোয় গোতাবায়ার সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় দখলের পর তিনি মালদ্বীপ হয়ে সিঙ্গাপুর চলে যান। সেখান থেকেই পদত্যাগের চিঠি পাঠান গোতাবায়া।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, চিঠিতে তিনি স্পিকারকে জানান, শ্রীলঙ্কাকে গ্রাস করেছে এমন অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছি। শ্রীলঙ্কার আর্থিক সঙ্কটের মূল ছিল কয়েক বছরের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা যা তিনি নিরসনের চেষ্টা করছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শ্রীলঙ্কায় পর্যটক না আসা, বিদেশি কর্মীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স আসাতেও সমস্যা হচ্ছিল।
গোতাবায় বলেন, এটি আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, আমি সংকট মোকাবিলায় সংসদ সদস্যদেরকে সর্বদলীয় বা ঐক্য সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানানোসহ সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিয়েছি।
শনিবার (১৬ জুলাই) শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করতে বৈঠকে বসেন আইনপ্রণেতারা। সেখানে পার্লামেন্টের মহাসচিব ধম্মিকা দাসানায়েক আনুষ্ঠানিকভাবে রাজাপক্ষের পদত্যাগপত্র পড়ে শোনান।
খবরে বলা হয়েছে, নতুন প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন গ্রহণের জন্য আগামী মঙ্গলবার পার্লামেন্টে আবারও বৈঠক হবে। আগামী বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্ধারণে ভোট হবে।
দ্বীপরাষ্ট্রটির অন্তর্র্বতীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহে। তিনি এ পদে থাকবেন কি থাকবেন না, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে আগামী বুধবার। কারণ প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে তার সঙ্গে আছেন আরও দুজন। তাদের মধ্যে একজন পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা, অপরজন প্রবীণ সাংবাদিক তথা সংসদ সদস্য ডলাস অলহাপেরুমনা।
সূত্র : বার্তা সংস্থা রয়টার্স