সার্বিয়া থেকে কেনা গোলাবারুদের বীমা ছিল: পররাষ্ট্র সচিব
Published : Monday, 18 July, 2022 at 12:00 AM
গ্রিসে বিধ্বস্ত কার্গো উড়োজাহাজে করে যে সামরিক রসদ বাংলাদেশে আসছিল, তা বীমার আওতায় থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না বলেই মনে করছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
রোববার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এ ধরনের মালামালের বীমা করা থাকে। ওইদিক থেকে আমরা সেইফ আছি।”
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবির জন্য সার্বিয়া থেকে কেনা মর্টার শেল নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করা ইউক্রেনীয় উড়োজাহাজটি শনিবার রাতে গ্রিসের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কাভালার কাছে বিধ্বস্ত হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর রোববার জানায়, ডিজিডিপি (ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ ডিফেন্স পারচেজ) ক্রয় চুক্তির আওতায় কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সার্বিয়া থেকে আনা হচ্ছিল ওই সামরিক রসদ।
সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর জন্য কেনা ‘প্রশিক্ষণ মর্টার শেল’ ছিল জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ওই চালানে কোনো অস্ত্র ছিল না এবং চালানটি বীমার আওতাভুক্ত।”
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নেবোসা স্টেফানোভিচ বলেছেন, ওই উড়োজাহাজে তাদের দেশে তৈরি সাড়ে ১১ মেট্রিক টন সামরিক রসদ ছিল।
সেজন্য বাংলাদেশের কত খরচ হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “দাম, সেটা আমরা জানব আমাদের যারা এনেছেন তাদের কাছ থেকে। তবে, যেহেতু এটা ইন্সুরেন্স করা আছে, সুতরাং উই আর কভার্ড।”
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বলেন, “এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, এটা দুর্ঘটনা। গ্রিস কর্তৃপক্ষ হয়ত বলতে পারবে, যেহেতু এটা গ্রিসে ভূপাতিত হয়েছে। সুতরাং সেটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে বা অন্য কিছু হয়েছে সেটা গ্রিকরা বলতে পারবে।”
রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনীয় বিমানে সামরিক সরঞ্জাম আনার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা যদি অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে থাকে, তাহলে সেটা যে কোনো বিমানেইতো হতে পারে। এটা হয়ত অনেক আগের থেকে হয়ে আসছে। সুতরাং যারা সাপ্লায়ার তাদের সাথে কথা না বলে হয়ত বোঝা যাবে না।
“চুক্তিটা কী রকম ছিল, বা সেখানে আমাদের কনসেন্ট নেওয়ার ব্যাপার ছিল কি-না, সাপ্লায়ার যারা আছে, তারাই হয়ত ব্যবস্থা করেছে। ডিটেইলগুলা...আমরা এক্ষুণি খবরটা পেলাম।”
গ্রিসের পাশাপাশি ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এ বিষয়ে কাজ করছে জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছে।”
রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয় উড়োজাহাজটি। ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে পাইলট কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেন, কিন্তু তার আগেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ড্রোন দিয়ে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলের চারপাশে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। উড়োজাহাজটিতে ইউক্রেইনের আটজন ক্রু ছিলেন। তারা সবাই নিহত হয়েছেন বলে সার্বিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।