তানভীর দিপু:
কুমিল্লায়
নতুন করে আবারো শুরু হচ্ছে করোনা টিকা গ্রহনের সেশন। ১৯ থেকে ২১ জুলাই তিন
দিন টানা প্রথম-দ্বিতীয় এবং বুষ্টার ডোজ দেয়া হবে। কুমিল্লা জেলা সিভিল
সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, ১৮ জুলাই সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লাতে
আবারো ফাইজার টিকার বুষ্টার ডোজ দেয়া হবে। তবে যারা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ
নেয় নি তারাও একই সাথে ১৮ থেকে ২১ জুলাই টিকা নিতে পারবেন। আমাদের জন্য ৩
লাখ ২০ হাজার টিকা বরাদ্দ থাকলেও আমরা চাই সাড়ে চার লাখ ডোজ টিকা প্রদান
করতে। কুমিল্লায় এই পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ প্রথম ডোজ, ৬৬ শতাংশ
দ্বিতীয় ডোজ এবং ২১ শতাংশ বুষ্টার ডোজ দেয়া হয়েছে।
এদিকে যারা এখনো
করোনার বুষ্টার ডোজ নেন নি তাদেরকে আবারো ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হচ্ছে
মোবাইল নম্বরে। করোনার চতুর্থ ঢেউ মোকাবেলায় নগরী থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে
আবারো টিকার এই কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে
জানা গেছে, আগের মতই প্রতি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৬ টি করে বুথ থাকবে
টিকা নেয়ার জন্য। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে দুই টি করে বুথ
থাকবে।
একদিনে ৭৫ লাখ মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার
লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দেশব্যাপী একটি কোডিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন
ক্যাম্পেইন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশে করোনা সংক্রমণের
ঊর্ধ্বগতি ও তুলনামূলক কম বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ কাভারেজ বিবেচনা করে এই
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (১৮
জুলাই) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে
যুক্ত হয়ে তিনি এ তথ্য জানান। এই ৭৫ লাখ টিকা বুস্টার (তৃতীয়) ও দ্বিতীয়
ডোজ হিসেবে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান
স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক জানান, এই ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সব
সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল,
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও
উপজেলাসমূহের ওয়ার্ড পর্যায়েও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। একদিনে
প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে প্রায়
৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫ হাজার ৫৫৮টি অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা
হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ক্যাম্পেইনে একসঙ্গে প্রায় ৩৩ হাজার ২৪৬ জন
টিকাদানকর্মী এবং ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। ক্যাম্পেইনে
দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ৪ মাস পার হয়েছে এরূপ ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে
বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে এবং প্রথম ডোজ পাওয়ার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার
পরও যারা দ্বিতীয় ডোজ নেননি এরূপ ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী দ্বিতীয় ডোজ
গ্রহণ করতে পারবেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশের দুর্গম অঞ্চলসমূহে
বসবাসরত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, ভাসমান জনগোষ্ঠী, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী,
পরিবহন ও কলকারখানাসহ সব স্তরের শ্রমিক, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী,
স্কুল-মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ সব বিশেষ জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯
টিকার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।’