ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
‘অনেক কষ্ট পেয়ে, ডানাভাঙা পাখির মতো টুটুল আমার কাছে এসেছে’
Published : Tuesday, 19 July, 2022 at 3:12 PM, Update: 19.07.2022 3:27:08 PM
‘অনেক কষ্ট পেয়ে, ডানাভাঙা পাখির মতো টুটুল আমার কাছে এসেছে’যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসে বিয়ের করেছেন সংগীতশিল্পী টুটুল ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উপস্থাপিকা শারমিন সিরাজ সোনিয়া।
মঙ্গলবার সকালে টুটুলের সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের বিষয় এবার মুখ খুললেন সোনিয়া। তিনি বলেন, সংগীতশিল্পী এসআই টুটুলকে আগে থেকেই চিনতাম। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অনুষ্ঠানে আমাদের দেখা হয়েছিল। তবে সে অর্থে পরিচয় ছিল না। দেখা হলে জাস্ট তাকে সালাম দিতাম, এতটুকুই। এমনকি তিনি আমার ফেসবুকেও ছিলেন না। গত মার্সে যুক্তরাষ্ট্রে আরটিভির রিয়েলিটি শো ‘বাংলার গায়েন’-এর আয়োজন করা হয়। যেখানে বিচারক হিসেবে ছিলেন এসআই টুটুল, ইমন সাহা ও শওকত আলী ইমন। সেই আয়োজনের উপস্থাপনা করি আমি। আর সেই মঞ্চেই দুজনের ভালোভাবে পরিচয়। সেখানে কয়েকটা দিন টানা আমরা শুটিং করি, সবাই মিলে অনেক দুষ্টুমি করি, মজা করি। তিনি আরও বলেন, গত বছরের শেষের দিকে টুটুলের ডিভোর্স হয়। ফলে এই সময়টায় তিনি খুব একাকীত্বের মধ্যে ছিলেন। ভেতরে ভেতরে কষ্টে পুড়ছিলেন। এর মধ্যেই একদিন আমাকে বললেন, ‘আমি যে কটা দিন পৃথিবীতে বাঁচব, আমার হাতটা ধরে তুমি কী সঙ্গে থাকবা?’ কথাটা আমি শুরুতে সিরিয়াসলি নিইনি। ভেবেছিলাম মজা করেছেন। তার পর ফোনে কথা বলা শুরু হলো। তার একাকীত্বের জীবনটা আমাকে নাড়া দিল। সবচেয়ে ভালো লাগল মানুষ হিসেবে তার চিন্তাভাবনাগুলো। অনেক দিন ধরে মেডিটেশনে থাকায় তার ধ্যান-ধারণায়ও নানা পরিবর্তন এসেছে। তার প্রতিটি জিনিসই আমার ভালো লাগল। তার জন্য কষ্ট হলো, মায়া জন্মালো। সোনিয়া বলেন, ‘আমেরিকায় আমার যে ব্যস্ত জীবন, আমার পক্ষে প্রেম-ডেট এগুলো করা সম্ভব নয়। আমি একটি ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত, তার ওপর সিঙ্গেল মাদার, আরও নানা কাজের ব্যস্ততা। সব মিলিয়ে ওসব করার সময় নেই। সেটি তাকে জানিয়ে দিয়ে বললাম, আপনি যদি সংসার করতে তা হলে আমরা সেটি নিয়ে আলাপ করতে পারি, দুজন দুজনকে বুঝতে পারি। এর পর আমরা দেখা করি, একে অন্যকে আরও গভীরভাবে জানি। আমেরিকায় তার এবং আমার দুজনেরই বোনেরা থাকেন, তাদের সঙ্গে কথা বলি, পরিবারকে জানাই। তার পর সব জেনে ও বুঝে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। গত ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশি রীতিতে আমরা নিকাহ করেছি। ইচ্ছা ছিল কয়েক মাস পর বড় আয়োজন করে সবাইকে জানিয়ে সুখবরটা দেব। কিন্তু তার আগেই তো সবাই জেনে গেল।’ সবশেষে তিনি বলেন, অনেক কষ্ট পেয়ে, ডানাভাঙা পাখির মতো টুটুল আমার কাছে এসেছে। এই সময়টায় তার এই সাপোর্টটা দরকার ছিল। সবচেয়ে বড় কথা— ঘরভাঙা দুটি মানুষ যদি এক হয়, সংসার গড়ে, তা হলে তো সবার খুশি হওয়া উচিত। না তা করে, না বুঝে কেউ কেউ যখন সমালোচনা করেন, তখন খুব খারাপ লাগে। সবার কাছে দোয়া চাই যেন আমরা জীবনের বাকি সময়টা একসঙ্গে সুখে ও শান্তিতে কাটাতে পারি।