দেশে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বেড়ে হাজারের উপরে উঠেছে, তবে মৃত্যুর সংখা আগের দিনের চেয়ে কমেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ১০৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে হয়েছে ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের দিন এই হার ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ ছিল।
মঙ্গলবার সারা দেশে ৮৭৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, আর এক দিনে ৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩৯৫ জন হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১,২৪২ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৮৯২ জন।
নতুন শনাক্ত ১ হাজার ১০৪ জনের মধ্যে ৫৭৯ জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৯ জেলাতেই গত এক দিনে নতুন রোগী ধরা পড়েছে।
ষাটোর্ধ্ব যে নারী মারা গেছেন, তিনি ছিলেন চট্গ্রাম জেলার বাসিন্দা। একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নামে। কিন্তু গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বেড়ে যায়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৬ কোটি ৫২ লাখের বেশি।