ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
এমপি-চেয়ারম্যান হাতাহাতি ॥ তৃণমূলে ক্ষোভ ও হতাশা
সংঘাতের পথে দেবীদ্বার আওয়ামী লীগ ?
‘বিষয়টি কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে, আমরা সিদ্ধান্তের অপেক্ষা আছি’
Published : Saturday, 23 July, 2022 at 12:00 AM, Update: 23.07.2022 1:37:32 AM
সংঘাতের পথে দেবীদ্বার আওয়ামী লীগ ?এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
২৬ বছর পর দেবীদ্বার উপজেলা আ’লীগের ত্রীবার্ষিক সম্মেলন চলতি বছরের ২১ জুলাই চুড়ান্ত তারিখ ঘোষণার পর স্থানীয় এমপি- চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বে আবারো অনিশ্চয়তার পথে সম্মেলন। গত ১৬ জুলাই জাতীয় সংসদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় পার্লাম্যান্ট মেম্বারস ক্লাবে ২১ জুলাইকে সামনে রেখে দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বৈঠকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে এমপির মারধরের ঘটনায় বিভক্ত তৃণমূল আওয়ামী লীগ।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সংঘাতের পথে যাচ্ছে এমপি ও চেয়ারম্যান সমর্থকরা। ঘটনার পর থেকে দুই গ্রুপের চলছে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ সমাবেশ, সড়ক অবরোধ ও ঝাড়ু মিছিল। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে দুটি সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে কয়েকটি মটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই জাতীয় সংসদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় পার্লাম্যান্ট মেম্বারস ক্লাবে দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বার আসনের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল মারধর করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থকরা ‘ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক ও দেবীদ্বার-চান্দিনা সড়ক অবরোধ’ করে রাখে। ওই দিন রাত পৌনে ৮টায় চেয়ারম্যান সমর্থকরা দেবীদ্বার সদরে মিছিল বাহির করলে, দু-গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে উভয় গ্রুপের প্রায় ৮/১০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়। এ সময় মুহুর্মূহু ককটেল বিস্ফোরনের ফলে পুরো দেবীদ্বারে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
অপরদিকে গত বুধবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে চেয়ারম্যান সমর্থকরা। ওই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে যোগদান করতে আসা নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের বাগুর এলাকায় গাড়িবহরে হামলা করে এমপির সমর্থকরা। হামলায় নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার ও তার ভাগিনা সৈকত। এতে চেয়ারম্যান গ্রুপের অন্তত: ১৫ জন আহত হয়, মারাত্মক আহত ৫ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গত রোববার চট্রগ্রাম বিভাগীয় দায়ীত্বপ্রাপ্ত আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপির সাথে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ নেতৃবৃন্দের সাথে জরুরী বৈঠক করেন। বৈঠকে অপ্রীতিকর ঘটনা এরাতে ২১ জুলাই উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন স্থগিত করেন। ওই ঘটনায় প্রথমে ২১ জুলাই এবং পরে তারিখ পরিবর্তন করে ২৪ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভা ডাকা হয়। ওই সভায় এমপি-চেয়ারম্যানের মধ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ব্যাপারে স্বিদ্ধান্ত হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।
১৯৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের পর থেকে কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) নির্বাচনী এলাকার এ আসনটি বামপন্থী দল ন্যাপের ঘাঁটি হিসাবে চিহ্নিত ছিল। স্বাধীনতার পর নিস্ক্রিয় ন্যাপের উপর ভর করেই ১৯৯১সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মূন্সী বিজয় লাভ করার পর থেকে এ আসনটি বিএনপি’র দূর্গে পরিনত হয়। ২০০৮সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আ’লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী এবিএম গোলাম মোস্তফা বিজয় লাভের মধ্য দিয়ে হারানো আসনটি ফিরে পেলেও আ’লীগ এ আসনে এখনো কোমর সোজা করে দাড়াতে পারেনি। ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘মোস্তফা বনাম ফখরুল’ গ্রুপের জন্ম হয়। বর্তমানে আরো ৩টি উপ-দল রাজী মোহাম্মদ ফখরুল (কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য) রৌশন আলী মাষ্টার (আ’লীগ কুমিল্লা (উঃ) জেলা সাধারন সম্পাদক), মোঃ আবুল কালাম আজাদ (দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আ’লীগ কুমিল্লা (উঃ) জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক) এর নেতৃত্বে রয়েছেন।
স্বাধীনতার পর ন্যাপের সাথে আ’লীগের সাংঘর্ষিক অবস্থান, আ’লীগের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব, সাংগঠনিক নেতৃত্বে দূর্বলতা, অহংকার-অহমিকা, যত কর্মী তত ভোটার এবং তত নেতা হওয়ার কারনে নেতৃত্বশূণ্য ন্যাপের অধিকাংশ সমর্থক বিএনপি’র দিকে ধাবিত হয়। ফলে ন্যাপের উপর ভর করে গড়ে উঠা বিএনপি ১৯৯১সাল থেকে ২০০৬সাল পর্যন্ত বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থীই বিজয়ের পতাকা সমন্নত রেখেছিলেন।
প্রয়াত নেতা আব্দুল আজিজ খান ছাড়া আ’লীগ এ আসনে কখনোই নিজেদের লোক দিয়ে নির্বাচন করাতে পারেনি। ১৯৭০সালের সংসদ নির্বাচনে মুসলিম লীগ থেকে আগত ক্যাপ্টেন সুজাত আলী আ’লীগের টিকেটে  বৈতরনী পার হন। পরবর্তীতে ১৯৭৩সালের নির্বাচনেও ক্যাপ্টেন সুজাত আলী আ’লীগের টিকেটে বিজয়ী হয়েছিলেন। একই নিয়মে সাবেক মুসলিম লীগ নেতা মন্ত্রী মফিজ উদ্দিন আহমে এর পুত্র সাবেক মন্ত্রী, এমপি, সচিব ও জাপা(মঞ্জু) গ্রুপের মহাসচিব এবিএম গোলাম মোস্তফাকে আ’লীগে যোগদানপূর্বক মনোনয়ন দিয়ে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আবারো বিজয়ের মুখ দেখেন। এবিএম গোলাম মোস্তফা বর্তমানে আ;লীগ কুমিল্লা (উঃ) জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি। তবে অপর নেতা জাপা থেকে আগত সাবেক উপ-মন্ত্রী ও বর্তমান আ’লীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এএফএম ফখরুল ইসলাম মূন্সী আ’লীগের টিকেট নিয়ে বিজয়ের মুখ না দেখলেও দলের সাংগঠনিক ভীত মজবুত ও ভোটের ব্যবধান বাড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক নেতা দাবী করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এ দ্বন্দ্ব, দ্বন্দ্ব ও অনৈক্যের শুরু ২৬ বছর আগে। ১৯৯৬ সালে গঠিত ওই এক কমিটি দিয়ে চলছে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। উপজেলায় নেই কোন অফিস, নেই কোন দলের কর্মসূচি পালন, জাতীয় কর্মসূচীতে প্রশাসনের কর্মসূচীগুলোই নিজ দলীয় কর্মসূচী মনে করে চেয়ার দখলের মধ্যদিয়েই দলকে চাঙ্গা রেখেছে।
স্থানীয় আ’লীগ নেতারা বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২সালে মরহুম আব্দুল হাকিম ভূইয়াকে সভাপতি এবং অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেনকে সাধারন সম্পাদক করে প্রথম সিলেকশন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির ১২ বছর পর ১৯৮৫ সালে সাবেক জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) ও বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা আ’লীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ খান আলী আশরাফ ভূঁইয়াকে সভাপতি ও এডভোকেট জানে আলমকে সাধারন সম্পাদক করে একটি সিলেকশন কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটির ৬ বছর পর অভিভাবকহীন আ’লীগের হাল ধরেন অধ্যক্ষ এম হুমায়ুন মাহমুদ। ১৯৯১সালেই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভোটে প্রথমবারের ন্যায়  দেবীদ্বার উপজেলা আ’লীগের সম্মেলনে কুমিল্লা(উঃ) জেলার সাবেক আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ এম হুমায়ুন মাহমুদকে সভাপতি ও আব্দুল মতিন মূন্সীকে সাধারন সম্পাদক করা হয়েছিল। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালের ২আগস্ট আলহাজ্ব জয়নুল আবেদীনকে সভাপতি ও মোঃ মনিরুজ্জামান মাষ্টারকে সাধারন সম্পাদক করে উপজেলার ৫১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। দলের অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনে গত ২৬বছরেও কমিটি করা সম্ভব হয়নি।
কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ। গত ২৬ বছরে অনেক বার সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিলেও মামা-ভাগ্নের গ্রুপিংয়ের কারনে অর্থাৎ সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও বর্তমান কুমিল্লা (উঃ) জেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবিএম গোলাম মোস্তফা এবং ওনার ভাগ্নে সাবেক উপ-মন্ত্রী এমপি ও বর্তমান আ’লীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এএফএম ফখরুল মূন্সীর দলীয় আধিপত্তের দ্বন্দ্বে আর সম্মেলন হয়নি। পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মাধ্যমে একাধিকবার সম্মেলনের তারিখ করে এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেও সম্মেলন হয়নি।
পরবর্তীতে বর্তমান আ’লীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এএফএম ফখরুল মূন্সীর ছেলে স্থানীয় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী এবিএম গোলাম মোস্তাফা, কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন। যার কারণে তিন বছরের উপজেলা কমিটি চলছে এখন ২৬ বছর ধরে। এ কারনে নেতৃত্বে আসতে পারছে না অনেক সম্ভাবনাময়ী তরুণ। দেশ স্বাধীনের পর সিলেকশনে ২ কমিটি এবং নির্বাচিত ২ কমিটিসহ ৪ কমিটিতে ৫২ বছর। এই উপজেলায় সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট। সেই সম্মেলনে মো. জয়নুল আবেদীনকে সভাপতি ও একেএম মনিরুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়।
এই চলমান ২৬ বছরের আ’লীগের কমিটির মধ্যে সভাপতি, সহ-সভাপতি, দপ্তর সম্পাদক সহ মারা গেছেন ১৪ জন, দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগদান করেছেন ২জন, আ’লীগ উপজেলা কমিটির সম্পাদক ও সদস্য ২৮ জন রয়েছে নিস্ক্রীয় অবস্থায়। বাকীদের মধ্যে কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ভূইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম শফিকুল আলম কামাল, লুৎফর রহমান বাবুল, বাহাউদ্দিন বাহারসহ ৪/৫ জন সক্রিয় রয়েছেন। বর্তমানে এই কমিটি নামে থাকলেও কার্যত কোন কাজে নেই। প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে নেতা-কর্মীদের চেয়ার দখল, বক্তৃতা প্রদান ছাড়া নিজস্ব কোন কর্মসূচী পালনে ক্ষমতা নেই। এ নিয়ে খোদ ক্ষমতাসীন দলেই ক্ষোভ বিক্ষোভের অন্ত নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক নেতা দাবী করেন, সম্মেলন না হওয়ায় দলের নেতৃত্ব বাড়েনি, যারা নেতৃত্বে আসার মতো তাদের মধ্যে অধিকাংশই সেই ছাত্রলীগ, যুবলীগের পরিচয়ে নিজ সন্তানদের সাথে মিছিলে এখনো অংশ নিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ কুমিল্লা উত্তর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, এমপির হাতে চেয়ারম্যান লাঞ্চিত হয়, এসময় পাশে থাকা জেলা সভাপতি ম. রুহুল আমিন দাড়িয়ে থেকে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। পরে বৈঠক ছেড়ে জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃ›ন্দ বেড়িয়ে গেলে জেলা সভাপতি ম. রুহুল আমিন তাদের পেছনে পেছনে এসে সবাইকে পুন:রায় বৈঠকে সমবেত হওয়ার আহবান জানাতে গেলে ম.রুহুল আমিনের সাথে চেয়ারম্যান ও নেতাদের বাকবিতন্ডা হয়। এ ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে নিতে এমপি তার নেতাকর্মীদের দিয়ে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে দেবিদ্বারকে উত্তপ্ত করে তুলেছে। এলডি হলের ভিডিও ও উপস্থিত ২৬ নেতার বক্তব্য নিলেই বুঝতে পারবেন সেদিন কি হয়ে ছিলো।
দেবীদ্বারে সৃষ্ট পরিস্থিতির ব্যাপারে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ম.রুহুল আমিন বলেন, তারা আমাদের কথা শুনে না, বিষয়টি কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে বসবে, এখন আমরা কেন্দ্রীয় স্বিদ্ধান্তের অপেক্ষা আছি।