দু’বছর আগেও তিনি ছিলেন বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী। খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করে দর্শকদের মাতিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ ছেড়ে দেন বিনোদনের ঝলমলে জগৎ। এক মুফতিকে বিয়ে করে সংসারী হয়ে যান। কেবল সংসারী নয়, বলিউডকে বিদায় জানিয়ে একেবারে ইসলামের পথ বেছে নেন। এখন নিয়মিতই হিজাব পরতে দেখা যায় তাকে।
কেন তিনি নাম, খ্যাতি, অর্থ এবং শোবিজ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? ১৫ বছরের সুদীর্ঘ অভিনয় জগত থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন? সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নতুন সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সানা। সেখানে তিনি বলেছেন, অতীত জীবনে খ্যাতি, নাম অর্থ সব ছিল তার কাছে। কোনও কিছুর কমতি ছিল না তার কাছে।
সেই সঙ্গে আরও বলেছিলেন, তিনি যা চেয়েছেন সব কিছুই করতে পেরেছেন। তবে এতসব কিছু থাকার পরেও একটি জিনিসের অনুপস্থিত বোধ করছিলেন তিনি। সেটা হল 'শান্তি'। কোনও কিছুতেই যেন সে সময় সানার হৃদয়ে শান্তি মিলছিল না।
অভিনেত্রীর জানান, ২০১৯ সালের রমজান মাস। সেই সময় তিনি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অসুস্থতার কারণে তখন ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন।
‘মুত্তাবিফি হুজ্জাজ’ দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সানা বলেন, ‘আমি স্বপ্নে নিজেকে জ্বলন্ত কবরে জ্বলতে দেখতাম। এই স্বপ্ন আমার কাছে মনে হয়েছিল কোনও বিশেষ বার্তা।’ এরপর তিনি গ্ল্যামার জগত ছেড়ে দেন। নিজেকে বিলিয়ে দেন ধর্মের পথে।
২০২০ সালের অক্টোবরে সবাইকে চমকে দিয়ে বলিউডকে বিদায় জানান সানা খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছিলেন, বিনোদন জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। কারণ ইসলামের কাছে সমর্পন করতে চান নিজেকে। এরপর এক মাসের মধ্যে গুজরাটের ব্যবসায়ী মুফতি আনসের সঙ্গে নিকাহ সারেন। বিয়ের পরেই নিজের নামে বদলে রাখেন সইয়াদ সানা খান। কিছুদিন আগে তিনি জীবনের প্রথম হজ পালন করছেন স্বামীর সঙ্গে।
উল্লেখ্য, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালায়ালাম ভাষায় একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন সানা। ২০১২ সালে রিয়ালিটি শো ‘বিগ বস’-এ অংশগ্রহণ করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সালমান খানের ‘জয় হো’, ‘ওয়াজা তুম হো’, ‘স্পেশ্যাল অপস’ সিনেমায়ও কাজ করেছেন তিনি। তবে শোবিজ দুনিয়া ছেড়ে বর্তমানে ইসলামের পথে চলছেন সাবেক এই অভিনেত্রী।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস