ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বন্যায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
Published : Tuesday, 26 July, 2022 at 12:00 AM, Update: 26.07.2022 1:28:57 AM
বন্যায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষতিমধ্য জুন থেকে দেশের ১৮ জেলার শুরু হওয়া বন্যায় ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হওয়ার তথ্য দিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ দফার বন্যায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত বা অসুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৮০ জন।
১৪ জুন সিলেট অঞ্চলে বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জেলায় ৭২ লাখ ৮১ হাজার ২০৪ জনকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়েছে। আর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৬ জন।
বেসরকারি হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা যে আরও বেশি, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সে সংখ্যা সম্ভবত ৭২ জনের মত। তবে অন্যরা বজ্রপাতে, নৌকাডুবি, সাপের কামড়ে মারা গেছেন। শুধু বন্যায় ১২ জন মারা গেছেন, তা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।“
অবকাঠামো ও ফসলি জমির ক্ষতির তথ্যও সংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
>> ৮৭ হাজার ৪৪৯ একর ফসলি জমি সম্পূর্ণ এবং ৪৭ হাজার ১৫২ একর জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
>> ১৮ হাজার ৪৭৯টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং এক লাখ ৬৭ হাজার ১৪৩টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
>> ২২৯টি ব্রিজ ও কালভার্ট সম্পূর্ণ এবং এক হাজার ৪৯৬টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত
>> ৬৬৪ কিলোমিটার পাকা সড়ক সম্পূর্ণ এবং ১৮৮৬ কিলোমিটার সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
>> ইট-খোয়া দিয়ে নির্মিত ৩১৫ কিলোমিটার সড়ক সম্পূর্ণ এবং ৬৭৬ কিলোমিটার সড়ক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
>> ৭২১ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক সম্পূর্ণ এবং ৬ হাজার ৮৫ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২২টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩৪টি মাদ্রাসা, ৩৯টি মসজিদ, ৭টি মন্দির ও একটি গির্জা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া ২ হাজার ৫৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭৪৩টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৯৫টি কলেজ, ২৪০টি মাদ্রাসা, ৩০টি কমিউনিটি স্কুল, ১৯৯৯টি মসজিদ, ৫৮৯টি মন্দির, ১৯টি গীর্জা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যায় ১৬৯ কিলোমিটার বাঁধ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ৮৮২ কিলোমিটার বাঁধ।
বানভাসি মানুষের পুনর্বাসনে ইউএনএইচসিআর সহযোগিতা করবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী এনামুর বলেন, “এখন আমাদের আবেদন করতে হবে, তারপর পুর্নবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
সরকারিভাবে পুর্নবাসনের জন্য বরাদ্দ কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রয়েছে। বৈঠক শেষে কোন মন্ত্রণালয়ের পুর্নবাসনের জন্য কত বরাদ্দ তা ঠিক করা হবে এবং রেজুলেশন করা হবে।”
সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, গাইবান্ধা, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, রংপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও ফেনী জেলা এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।