বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে এক রকম ছেলেখেলাতেই মেতেছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। অপেক্ষাকৃত নতুনদের নিয়ে গড়া দল, দেশে থাকতেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রত্যাশার চাপ।
কিন্তু বাংলাদেশের বোলিং লাইন-আপে বদল তেমন আসেনি। ছিলেন নিয়মিত মুখ মোস্তাফিজুর রহমান-নাসুম আহমেদরা।
কিন্তু তাতেও কাজের কাজ হয়নি। সিকান্দার রাজা-ওয়েসলি মাদাভিরাদের ব্যাটে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ২০৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে তাদের সর্বোচ্চ। আর সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান এসেছে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। চলতি মাসেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান করেছিল তারা। এই দুই ম্যাচ ছাড়া আর একবারই ২০০ ছাড়াতে পেরেছিল জিম্বাবুয়ে। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডে বিপক্ষে ২ উইকেট হারিয়ে ঠিক ২০০ রান করেছিল তারা।
গত বছর হারারেতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে। এতদিন সেটিই ছিল টাইগারদের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ওই ম্যাচেও অবশ্য হেরে গিয়েছিল তারা।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। এছাড়া ৪ ওভারে যথাক্রমে ৪৫ ও ৪২ রান হজম করেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি নাসুম আহমেদ।