Published : Friday, 12 August, 2022 at 12:00 AM, Update: 12.08.2022 12:33:45 AM
শাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
বাবাকে মারধর করায় অভিযুক্ত ইকবালের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুুপরে দেবিদ্বার নিউ মার্কেট স্বাধীনতা চত্ত্বরে এ মানববন্ধন করেছেন তাঁরা। মানববন্ধনে স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও অংশ নেন। অভিযুক্ত ইকবালের বিচারের দাবিতে বক্তব্য রাখেন মারধরের শিকার মো. আলম মিয়ার বড় মেয়ে মোসা. ডালিয়া আক্তার, ছোট মেয়ে হাবিবা আক্তার, স্ত্রী মনি বেগম, শ্রমিক নেতা মো. শুক্কুর আলীসহ অন্যান্য শ্রমিকরা। মারধরের শিকার আলম মিয়া পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি এলাকার মৃত দুধ মিয়ার ছেলে।
মানববন্ধনে বড় মেয়ে মোসা. ডালিয়া আক্তার বলেন, অভিযুক্ত ইকবাল গত ৪ তারিখ আমার বাবাকে অন্যায়ভাবে মারধোর করেছে। সে আমার ছোট বোন মাকেও মারধোর করেছে। তাঁর অত্যাচারে বাড়িতে যেতে আমরা ভয় পাচ্ছি। কারণ সে ২০১৮ সালেরর ১০ ডিসেম্বর আবদুল্লাহপুর গ্রামের মুন্সিবাড়ির মোকবল হোসেনকে কোম্পানীগঞ্জে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে। সে কথায় কথায় আমাদেরকেও মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমরা থানায় অভিযোগ করলেও এর কোন প্রতিকার পায়নি। আমরা নিরাপত্তা চাই। আলম মিয়ার স্ত্রী মনি বেগম আঘাতপ্রাপ্ত চোখ দেখিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমার এই চোখ ইকবাল খোঁচা মেরে নষ্ট করে দিয়েছে। তার বিচার করার সাহস কেউ করতে পারে না। এখন আমাদের বাড়িঘর দখল করারও ষড়যন্ত্র করছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠুতদন্ত করে বিচাররের দাবি জানাচ্ছি।
আহত আলম মিয়া বলেন, আমি এক সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। ইকবাল মাদকাসক্ত থাকে সব সময়। বিনা কারণে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে মারধর করেছে। তাঁর নামে আমি বাদী হয়ে কুমিল্লা কোর্টে মামলা করি (যার নং ১৩৯৭/১৬) মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
শ্রমিক নেতা মো. শুক্কুর আলী বলেন, আহত আলম মিয়া একজন পরিবহন শ্রমিক। বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে সে বিচার পাচ্ছে না। তাকে মারধর করার সুষ্ঠু বিচার না হলে পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, মারধরের শিকার আলম মিয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।একজন এসআই বিষয়টি তদন্ত করছেন। অপরাধ প্রমাণীত হলে দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।