Published : Monday, 15 August, 2022 at 12:00 AM, Update: 15.08.2022 1:43:30 AM
সাঈদ হাসান, কুবি ||
কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় মাইন উদ্দিন নামের
এক অটোরিকশা চালককে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে
সালমানপুর এলাকা থেকে তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোটবাড়ি পুলিশ
ফাড়িঁর ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন। এদিকে এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, (১৪ আগস্ট) ১২ টার দিকে অটোরিকশা
পরিবর্তন করাকে কেন্দ্র করে পলিটেকনিক্যাল কলেজ সংলগ্ন কোটবাড়ি
অটোস্ট্যান্ডে চালকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী
আব্বাস উদ্দিনের। কথা কাাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্বাস উদ্দিনকে মারধর করে
মাইন উদ্দিন ও রবিউল নামের দুই অটোরিকশা চালক। এসময় চাবি দিয়ে তার শরীরের
আঘাত করে এবং কিল ঘুষি দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
পরে শিক্ষার্থীদের
সহযোগিতায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত
চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
বর্তমানে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে মারধরের ঘটনায়
সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে গাড়ি থামিয়ে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। পরে
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন তুলে নেয়
শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর বিচার চেয়ে অভিযোগ দিয়েছে
ওই শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্বাস উদ্দিন বলেন, আমার ক্লাসের
দেরি হয়ে যাওয়ায় আমি তার অটো চেঞ্জ করে রানিং একটা অটোতে উঠি তখন সে আমার
সাথে বাজে ব্যবহার করলে আমি প্রতিবাদ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা চাবি দিয়ে
আমাকে আঘাত করে, এছাড়া কিল ঘুষি দেয়। এখন আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।
ডাক্তার পর্যবেক্ষণ থাকতে বলেছেন। আমি মাথায় আঘাত পেয়েছি। তিনি আরও বলেন,
আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ইতিমধ্যে প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ
বিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন জানান, আমরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্বাস উদ্দিন নামে এক শিক্ষার্থীকে দুই জন অটো ড্রাইভার
কর্তৃক মারধরের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাইন উদ্দিন
নামের একজন অটো চালক আটক করি। অভিযুক্ত আরেকজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা ঘটনা জানার সাথে সাথে
প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। এবং শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত
করেছি, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করবে। ঘটনাস্থলে
পুলিশ প্রশাসনও উপস্থিত ছিল। অলরেডি পুলিশ প্রশাসন অটোরিকশা চালক মাইন
উদ্দিনকে আটক করেছে, পাশাপাশি রবিউলকে ধরার চেষ্টা করতেছে। তিনি আরও বলেন,
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।