চালের ওপর শুল্ক কমানোর পর ভারত থেকে আমদানিকৃত চাল বন্দর থেকে দ্রুতগতিতে খালাস শুরু হয়েছে। সারাদেশে সরকারিভাবে ওএমএসসের চাল বিক্রিও শুরু হয়েছে। মূলত এই দুই কারনে হিলি খুচরা বাজারে কেজিতে ২ থেকে চার টাকা কমেছে চালের দাম।
এর আগে আমদানি করা চালে শুল্ক বেশি থাকায় লোকসানের আশঙ্কায় বন্দরে চাল খালাসে ধীরগতি ছিল। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে হিলি কাস্টমসে চালের বিল অব এন্ট্রি সাবমিটের পর পরীক্ষণ শুল্কায়ন শেষে চাল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়।
হিলি স্থলবন্দরের তথ্য বলছে, ভারত থেকে আমদানি করা চালের ওপর ৬২.৫ ভাগ শুল্ক নির্ধারণ ছিল। দেশে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখীর কারণে সরকার চালে শুল্ক কমিয়ে ২৫ ভাগ নির্ধারণ করলে ২৩ জুলাই থেকে আবারো বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। কিন্তু বিশ্ব বাজারে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চালের দাম বৃদ্ধি করায় চাল আমদানিতে লোকসানের কারনে শুল্ক আরো একধাপ কমিয়ে ১৫ ভাগ করার ঘোষণা দেয় সরকার। এরইমধ্যে বন্দরে আটকে থাকা ভারত থেকে আমদানি করা প্রায় ৩শ ট্রাক চাল খালাস শুরু হয়।
রোববার (৪সেপ্টেম্বর) হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বর্ণা চাল ২ টাকা কমে ৫০ টাকা, ২৮ জাতের চাল ২ টাকা কমে ৫৬ টাকা এবং মিনিকেট চাল ৪ টাকা কমে ৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে চাল কিতে আসা রিকশাচালক আব্দুল খালেক জানান,বাজারে দুইদিন চালের দাম দুটাকা কমে আর এক মাস ধরে বাড়ে। এতে আমাদের গরিব মানুষের বড় কষ্ট হয়। সব চাল প্রায় ৫০ টাকার ওপরে। তারপরও কেজিতে ২ টাকা কমেছে। আরও কমলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
হিলি খুচরা বাজারের চাল বিক্রেতা আলম জানান, চাল আমদানিতে শুল্ক কম এবং ওএমএসের চাল বিক্রির ফলে হিলি বাজারে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। প্রকার ভেদে কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা দাম কমেছে। ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলে আরও দাম কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, আমরা চাল আমদানি অব্যাহত রেখেছি। আরো চাল আমদানি হবে। আশা করছি আরও দাম কমবে। গেল সোমবার (২৯ আগস্ট) কাগপত্র জটিলতার কারণে বন্দর থেকে চাল খালাস করা সম্ভব না হলেও পরদিন মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) থেকে চাল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।