নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৭১ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। সেই মামলায় গ্রেফতার ১০ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুর মোহসীনের আদালত প্রত্যেককে একদিন করে রিমান্ড দেন।
রিমান্ডে নেওয়া ১০ জন হলেন– ফতুল্লার পূর্ব নরসিংহপুরের আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুস সাত্তার (২২), আলীরটেকের ডিক্রিরচরের মোস্তফা সরদারের ছেলে মজিবুর রহমান (৫২), শহরের পালপাড়ার যোগেশ চন্দ্র দেবনাথের ছেলে রঞ্জন কুমার দেবনাথ (৩৬), রূপগঞ্জের সিংলাবোর মৃত হারুন আর রশিদের ছেলে রাজীব (৩৮), সোনারগাঁওয়ের মেঘনাঘাটের আলী আক্কাসের ছেলে জনি (৩৮), বন্দরের উত্তর চানপুর মাদ্রাসা এলাকার মৃত আমান উল্লাহের ছেলে বাদল (৩৩), আড়াইহাজারের রামচন্দ্রাদীর মৃত রমিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে আবুল কালাম ভুঁইয়া (৪৮), সোনারগাঁওয়ের মেঘনাঘাটের মৃত আলী মোস্তফা খানের ছেলে রিমন (২২), একই এলাকার ইমাম হোসেনের ছেলে ইমন (১৮) এবং আড়াইহাজারের ময়নাবাজ এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে সোহান (১৫)।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এই মামলায় গ্রেফতার ১০ জনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত প্রত্যেকের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’
এর আগে, ২ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান বাদী হয়ে বিএনপির ২১ জন নামীয় নেতাকর্মী এবং পাঁচ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ১ সেপ্টেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অপরদিকে, সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শাওন নামে একজন নিহত হন। এ ছাড়াও বিএনপির প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত শাওনের ভাই মিলন প্রধান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ছাড়া রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পুলিশের ৪২ কর্মকর্তা-সদস্যকে আসামি করে আরেকটি মামলার আবেদন করেছেন।