ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বুড়িচংয়ে জুয়ার আসরে পুলিশের হানা দৌড়ে পালাতে গিয়ে একজনের মৃত্যু
Published : Saturday, 10 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 10.09.2022 12:54:28 AM
বুড়িচংয়ে জুয়ার আসরে পুলিশের হানা দৌড়ে পালাতে গিয়ে একজনের মৃত্যুসৌরভ মাহমুদ হারুন বুড়িচং ||
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার শোভারামপুর এলাকায় জুয়া খেলার সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় মিজানুর রহমান (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর ২০২২) দিনে উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের শোভারামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ভারেল্লা দক্ষিন ইউনিয়নের সোন্দ্রম পূর্ব পাড়া ফজলু মিয়ার পুকুর পাড় এলাকায় কিছু লোকজন জুয়া খেলার আসর বসিয়েছে এ খবরে বুড়িচং থানাধীন দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। পুলিশের অভিযানের খবরে ১০/১২ জনের একটি দল দৌড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ধাওয়া করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে চলে আসে।
এসময় পাশ্ববর্তী শোভারামপুর গ্রামের মৃত আবদুল আজিজ এর ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান পুলিশের ভয়ে পালানোর সময় বাড়ীর অদূরে রাস্তার পাশে একটি গর্তে পরে অজ্ঞান হয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে উদ্ধার করে ময়নামতি জেনারেল হাসপাতলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহতের তিন মেয়ে, এক ছেলে ও এক স্ত্রী রয়েছেন।
এ বিষয়ে ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন মোঃ ওমর ফারুক বলেন,জুয়ার আসরে পুলিশের উপস্থিতি টেড় পেয়ে পালানোর সময় শোভারামপুর গ্রামের মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি মারা গেছে।
এদিকে নিহতের খবরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান, বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন, বুড়িচং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান নিহতের বাড়ীতে উপস্থিত হয়। এসময় নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।
বুড়িচং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান বলেন, জুয়া খেলা চলছে এ খবরেই পুলিশ অভিযান চালায়, ঘটনাস্থলে কাউকে না পেয়ে পুলিশ চলে আসে। পরে খবর পাওয়া যায় এক ব্যক্তি জুয়ার বোর্ড থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
পরে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই, এছাড়াও কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান স্যার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।