মিরাজ-ইমরানরা
চেয়েছিল ফাইনালে দেখা হবে ভারতের সঙ্গে। কিন্তু ফাইনালের আগেই অনূর্ধ্ব-১৭
সাফের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। ম্যাচটা ভারতের
বিপক্ষে বলেই আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে। কেননা এই ভারতের কাছেই অনূর্ধ্ব-২০
সাফের ফাইনালে হেরেছিল বাংলাদেশ।
সেই দলের ৯ জন অনূর্ধ্ব-১৭ দলে থাকায়
প্রতিশোধের নেশাও আছে তাদের মধ্যে। সেমিফাইনালের এই ম্যাচের জন্য নিজেদের
ভালোভাবে প্রস্তুত করেছে মিরাজুলরা।
আগামীকাল শ্রীলঙ্কার কলোম্বোতে
অনূর্ধ্ব-১৭ সাফের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। ম্যাচটি
শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়। এবারের আসরে শ্রীলঙ্কাকে ৫-১ এবং
মালদ্বীপকে ৫-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে এসেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই
প্রতিপক্ষকে নিয়ে ছেলেখেলায় মেতেছিল বাংলার কিশোররা।
বয়সভিত্তিক বা
সিনিয়র পর্যায়ের ফুটবল, বারবার ভারতের কাছে হেরেই স্বপ্নভঙ্গ হয়
বাংলাদেশের। তাই ভারত ম্যাচের আগে মানসিক চাপে থাকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা।
কিন্তু মিরাজুল-ইমরানরা বলছে কোনো মানসিক চাপে নেই তারা।
শ্রীলঙ্কা
ম্যাচে গোল না পেলেও মালদ্বীপের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে ফরোয়ার্ড মিরাজুল
ইসলাম। ভারতের বিপক্ষেও গোলের এই ধারা অব্যাহত রাখতে চায় সে, ‘মানসিক চাপ
নেই। ভারতকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে সবাই খুশি। এই ম্যাচটার জন্য সবাই
প্রস্তুত আছে। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। এই ম্যাচেও গোল করার ইচ্ছা আছে।
সবাই আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমরা এবার কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব।
অনূর্ধ্ব-২০ সাফের ফাইনালে আমরা ভারতের কাছে হেরেছি, দেশবাসীকে অনেক কষ্ট
দিয়েছি। আমরা দুঃখিত। ’
দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের
অধিনায়ক ইমরান খান বলেছিল, ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে চাই। অবশ্য
ফাইনালের আগেই তাদের বিপক্ষে লড়তে হচ্ছে। ভারতকে হারিয়েই ফাইনালে যাওয়ার
স্বপ্ন বুনছে ইমরান, ‘আমরা প্রথমেই বলেছিলাম প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে চাই
ফাইনালে। কিন্তু আমরা ওদের সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছি। সবাই
আশায় আছে ওদেরকে হারিয়েই ফাইনালে যাব। ভারত-নেপাল ম্যাচে ওদের
শক্তির-দুর্বলতার জায়গা দেখা হয়েছে। আমরা চার দিন বিরতি পেয়েছি, দুই দিন
প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতকে নিয়ে। সবাই প্রস্তুত ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য।
কোনো স্নায়ুচাপ নেই। সবার একটা ভালো দিক আছে, সবাই ভারতের বিপক্ষে খেলতে
চাই। ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে খেলতে চায়। ’