সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের গোলাগুলি চলছেই
Published : Monday, 12 September, 2022 at 12:00 AM
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তে ওপারে গত শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল থেকে নতুন করে শুরু হওয়া গোলাগুলি এখনও থামেনি। রবিবার সকাল থেকেই ওই এলাকায় গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সংবাদকর্মী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আজ (রবিবার) সকাল থেকে ওপারে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। আমি সীমান্তের এপারে কয়েকটি স্থানে গিয়েছি এবং রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। এর আগে কয়েকটি গোলা, মর্টার শেল এবং গুলি সীমান্তের এপারে পড়ার পর থেকে রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়রা আতঙ্কে আছেন।’
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত পিলার ৩৬-এর বিপরীতে আনুমানিক তিন কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে প্রতিদিনই গোলাগুলি এবং মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ঘুমধুম ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, দুই দিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। আজও সারাদিন ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এতে আতঙ্কে আছেন সীমান্তের বাসিন্দা ও রোহিঙ্গারা।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, ‘দুই দিন বন্ধ থাকার পর সীমান্তের ওপারে আবারও গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে। আমরা সীমান্তের সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছি এবং প্রতিনিয়ত খবর রাখছি।’
তবে সীমান্তের এপারে বাড়তি সর্তকতা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির কথা জানালেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তারিকুল ইসলাম তারিক। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে সার্বক্ষণিক পুলিশ এবং গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে। এলাকাবাসীর নিরাপত্তায় তারা কাজ করছে।’
এদিকে, শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার ভূখণ্ডে গোলাগুলি হয়। সেখান থেকে ছোড়া একটি গুলি তুমব্রু এলাকায় এসে পড়ে। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে। তার আগে ২৮ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে।