Published : Saturday, 17 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 17.09.2022 12:16:51 AM
এক দিনের ব্যবধানে করোনা শনাক্ত বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ। টানা ৯ দিন ক্রমাগত বৃদ্ধির পর বুধবার এসে শনাক্তের হার কমে হয় ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। কিন্তু আবারও তা বেড়েই চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুক্রবার জানায়, এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এই সময়ে ভাইরাসটির সংক্রমণে মারা গেছেন দুজন।
আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ এক দিনে বেড়েছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
যে দুজন মারা গেছেন তাদের একজন পুরুষ, অন্যজন নারী। তাদের একজন ঢাকার, অন্যজন গাজীপুরের বাসিন্দা। দুজনেই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়।
দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরুর পর ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো শনাক্ত হার ৫ শতাংশের নিচে নামে। ওইদিন ৪ হাজার ৮০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তার পর থেকে এই হার ওঠানামা করলেও তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি।
কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তা বাড়তে বাড়তে মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশে উঠে যায়। শুক্রবার তা ছাপিয়ে হলো ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৩৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। নতুন শনাক্তদের ২৬৮ জনই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ১৬ হাজার ৯৪৬ জন। আর সর্বশেষ দুজনসহ মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৩৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২৬০ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৪৭ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে ওই বছরের ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ।