গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। তার শরীর ১৫ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছে। তবে দগ্ধ হওয়ার সময় থেকে এখন কিছুটা ভালো তিনি।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় এ কথা জানান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
এদিকে দগ্ধ আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল মো. জিল্লুর রহমানের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড একটি মিটিং করেছে।
মিটিং শেষে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমরা শ্বাসনালী ১৫ শতাংশ দগ্ধ হলেই ঝুঁকিপূর্ণ বলে থাকি। কিন্তু আবু হেনা রনির ও কনস্টেবল মো. জিল্লুর রহমানের আরও বেশি দগ্ধ হয়েছে।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, তাদের রক্ত পরীক্ষা হয়েছে। আমরা সেগুলোতে কিছু শঙ্কা দেখেছি। তবে দুদিন আগে যে অবস্থায় তাদের নিয়ে আসা হয়েছিল তার চেয়ে ভালো রয়েছে।
এর আগে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানিয়েছিলেন, আবু হেনা রনির শ্বাসনালি দগ্ধ হয়েছে। অন্যদিকে কনস্টেবল মো. জিল্লুর রহমানের শরীরের ১৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুরে পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান ও নাগরিক সম্মেলনে আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিদের উদ্বোধনী মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রধান অতিথির হাতে বেশ কিছু বেলুন দেওয়া হয় উড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বারবার চেষ্টা করলেও বেলুনগুলো উড়ছিল না। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সে বেলুন মঞ্চের পেছনে নিয়ে যান। শুধু পায়রা উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রামন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে চলে যান।
অতিথিরা মূল মঞ্চে চলে যাওয়ার কিছু সময় পর কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলুন বিক্রেতাকে বকা দেন। এতে বিক্রেতা নিজেই বেলুনে আগুন লাগিয়ে ওড়ানোর চেষ্টার করেন। এ সময় বিস্ফোরণ ঘটে বেলুনে। এতে পাশে বসে থাকা কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হন।
আবু হেনা রনি পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় টিভি শো মীরাক্কেলের বাংলাদেশি কৌতুক অভিনেতা।