Published : Friday, 23 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 23.09.2022 1:40:34 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ
বুলুর ওপর হামলার ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ৬-এ মামলাটি দায়ের করেছেন জেলার লাকসাম পৌরসভা
বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে
অজ্ঞাতনামা আরো ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক আবু বকর
সিদ্দিক মামলাটি আমলে নিয়ে তা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি
নিশ্চিত করে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম
কুমিল্লার সভাপতি কাইমুল হক রিংকু। তিনি বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও
সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলুর ওপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে
মামলার আবেদন করা হয়। আদালত তা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
দিয়েছেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা
হয়েছে।
মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হচ্ছেন মনোহরগঞ্জ উপজেলার সাইকচাইল
এলাকার রঙ্গু মিয়ার ছেলে মো. সাফায়েত হোসেন (৪৫), জাওড়া (পশ্চিম পাড়া)
এলাকার কালা মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান শিপন (৩৮), মো. মানিকের ছেলে বাবু
(৩২), বড় কাচি এলাকার মজু মিয়ার (সুপারী বেপারী) ছেলে রুবেল হোসেন (৩৮),
সাইকচাইলের তোরাব আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম (৪২), ছুট্টি মিয়ার ছেলে সাজু
আহাম্মদ (৩০), বড় কাঁচি এলাকার তোফায়েল মেম্বারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৩),
জাওড়া (পূর্বপাড়া) এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবির (৪২), সাইকচাইল
এলাকার মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে মাজহারুল ইসলাম (৪০), বিপুলাসার
এলাকার মৃত মানিকের ছেলে মো. রাকিব (২৮), জাওড়া (পশ্চিম পাড়া) এলাকার
আব্দুর রবের ছেলে মানিক মিয়া (৩৫), বড় কাঁচির আবুল কাশেমের ছেলে ইমন হোসেন
(৩৮), জাওড়া (পশ্চিম পাড়া) এলাকার মোতালেব ভূঁইয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৫),
সাইকচাইলের নূরুন নবীর ছেলে বিজয় (৩২), কেয়ারী এলাকার দেলোয়ার হোসেনের
ছেলে ওমর ফারুক (৩৬), রুদ্রপুর এলাকার আবুল কাশেম আজাদের ছেলে মাসুদ পারভেজ
(৩৭), দিশাবন্দ এলাকার কালা মিয়ার ছেলে সেলিমসহ (৩৭)।
প্রসঙ্গত,
গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলু সস্ত্রীক নোয়াখালীর
সোনাইমুড়ি থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার বাজারে গাড়ির চাকা
পাংচার হয়ে গেলে সেখানে যাত্রাবিরতি করেন। সেখানে তিনি ও তার স্ত্রীসহ
সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরা একটি রেস্টুরেন্টে চা পান করতে বসেন। এসময়
দুর্বৃত্তরা তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় বরকত উল্লাহ বুলু, তার স্ত্রী,
মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেনসহ ৭-৮ জন আহত
হন। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এখনো
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বরকত উল্লাহ বুলু।