আমরণ অনশনের ঘোষণা দেওয়ার কয়েকঘণ্টা পরই নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত নেত্রীরা।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনশনের জন্য ঢোকেন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ১২ নেত্রী। এ সময় গেটে গার্ডদের সঙ্গে কয়েক দফা ধাক্কাধাক্কি হয় নেত্রীদের। পরে তারা ভেতরে ঢোকেন।
ভেতরে দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর দুপুর দেড়টার দিকে ইডেনের নেত্রীরা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে বের হয়ে আসেন।
এসময় সাংবাদিকরা অনশনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমরা অনশন বাতিল করছি। আমাদের নতুন কোনো কর্মসূচিও নেই।
কেন অনশন বাতিল করলেন, রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন কে ছিল জানতে চাইলেও তারা কোনো উত্তর দেননি।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ইডেন কলেজ গেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কারের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বহিষ্কৃত নেত্রীরা। তা না হলে তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করার হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বহিষ্কৃত নেত্রী সুস্মিতা বাড়ৈই বলেন, তদন্ত ছাড়া এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ভিত্তিহীন বহিষ্কারাদেশ যদি প্রত্যাহার এবং এর সুষ্ঠু বিচার না করা হয় তাহলে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করব।
এর আগে রোববার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।
সেইসঙ্গে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সোনালি আক্তার, সুস্মিতা বাড়ৈ, জেবুন্নাহার শিলা, কল্পনা বেগম, জান্নাতুল ফেরদৌস, আফরোজা রশ্মি, মারজানা উর্মি, সানজিদা পারভীন চৌধুরী, এস এম মিলি, সাদিয়া জাহান সাথী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খানম বিন্তি ও সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখি এবং কর্মী রাফিয়া নীলা, নোশিন শার্মিলী, জান্নাতুল লিমা, সূচনা আক্তারকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।