Published : Tuesday, 4 October, 2022 at 12:00 AM, Update: 04.10.2022 12:15:43 AM
রণবীর ঘোষ কিংকর।
শারদীয়
দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী থেকেই বৃষ্টির সাথে লড়াই করছেন ভক্ত-দর্শণার্থীরা।
সপ্তমীর দুপুর থেকেই কুমিল্লা জুড়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভক্ত-দর্শণার্থীদের
আনন্দের জোয়ারে ভাটা পড়ে। অষ্টমীর দিনের অপেক্ষায় সপ্তমীর দিনটি ঘরে বসেই
কাটিয়ে দেন অধিকাংশ ভক্ত ও দর্শণার্থী।
সোমবার শারদীয় দুর্গোৎসবের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দময় দিন মহাঅষ্টমীর ভোরে ঘুম ভাঙ্গতেই মন খারাপ
অনেকের। বৃষ্টি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ভক্তদের। মহাঅষ্টমীর সকালে কখনও
গুড়ি বৃষ্টি আবার কখনও মাঝারী-ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মাতৃ বন্দনায় মায়ের
পায়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করতে ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়েছেন ভক্তরা। মহাঅষ্টমী পূজা
চলাকালিন সময়েও থেমে নেই বৃষ্টি। মন্ডপগুলোতে ভক্তদের উপচে পড়া ভীড়।
ভক্তরা
নতুন কাপড় পড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ক্যামেরা বন্দি হতেও বিঘ্ন ঘটায়
অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি। তবে দুপুরের পর থেকে আকাশ খানিকটা পরিস্কার হতে শুরু
করে। দুপুর ২টার পর পশ্চিম আকাশে সূর্য্যরে কিরণে ঝলমলে দুপুর। বিকেলে
স্বস্তি আসে সকল ভক্তপ্রাণে। মন্ডপে মন্ডপে বাড়তে শুরু করে
ভক্ত-দর্শণার্থীদের পদচারণা।
এদিকে, রবিবার (২ অক্টোবর) সকালে
সূর্য্যরে ঝলমলে রোদের পর বিকাল থেকে আবছা হতে শুরু করেছিল দক্ষিণের আকাশ।
বিকাল ৩টার দিকে জেলা জুড়ে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। বৃষ্টির কবলে পড়ে
পূজা মন্ডপগুলোর চিরচেনা রূপ হারিয়ে যায়।
সপ্তমীর বিকাল থেকে প্রতিটি
পূজা মন্ডপে যেখানে শতশত ভক্ত-দর্শণার্থীদের ভীড় থাকার কথার স্থলে অনেকটাই
ফাঁকা দেখা যায় পূজা মন্ডপ প্রাঙ্গণ। শুধুমাত্র মন্ডপ কর্তৃপক্ষ, বাদ্যকর ও
আইন-শৃঙ্খলার সদস্য ছাড়া অধিকাংশ পূজা মন্ডপে ভক্ত-দর্শণার্থীদের আনাগোনা
ছিল না বললেই চলে। মহানবমী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত প্রকৃতি অনূকূলে থাকবে
এমনটাই প্রত্যাশা সকল ভক্তপ্রাণে।