ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেবিদ্বার
উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় মামলা
Published : Friday, 7 October, 2022 at 12:00 AM, Update: 07.10.2022 1:05:42 AM
উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় মামলানিজস্ব প্রতিবেদক: দেবিদ্বারে পুজামন্ডপ পরিদর্শনে এসে ভিংলাবাড়ি এলাকায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ কুমিল্লা উত্তর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদের গাড়িবহরে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় দেবিদ্বার উপজেলা  স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেনসহ এজাহারনামীয় ৯জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমলকৃষ্ণ ধর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার আশরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন বাদি হয়ে দেবিদ্বার থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৬, তাং- ০৫/১০/২০২২ইং।
এ মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন, মো. আনিসুর রহমান (৪০), আমিনুল ইসলাম সুমন (৩৩), জহিরুল ইসলাম (৩৮), ওমর ফারুক (৩৬), জামিউর রহমান (২৬), আহাম্মেদ শুভ (২৪), মো. নিশান মিয়া (২৪), নুরুনবী(২৪)সহ আরো অজ্ঞাত ৪০-৫০ জন।
বাদি তাঁর মামলার বিবরনীতে উল্লেখ করেন, মামলায় অভিযুক্তরা গত ৩ অক্টোবর রাত ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার ভিংলাবাড়ি সাহাপাড়া পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি বহরে হামলা করে এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত গাড়ী নং ঢাকা  মেট্রো-ঘ-১৫১৫২৪ ভাঙচুর করা হয়। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে এ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলা দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি ধলাহাস রোডের ফতেহাবাদ মোড়ে পৌঁছালে ওই একই অভিযুক্তরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবিদ্বার পুরাতন বাজার এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন, আনিছুর রহমান ও আমিনুল ইসলাম সুমনের নেতৃত্বে এলোপাথারী গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এসময় সমর্থকরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিরাপদে সরিয়ে নিলেও তাকে বহনকারী সরকারি গাড়িতে গুলি লাগে। অপরদিকে প্রতিপক্ষের এ হামলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ৫ সমর্থক আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর  আহত ভিংলাবাড়ি এলাকার মো. সজিব মিয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত অন্যরা হলো, ভিংলাবাড়ি এলাকার মো. জহির, মাহবুব হোসেন এবং বানিয়াপাড়া এলাকার হিমেল ও শুভ। এ ব্যাপারে মামলার প্রধান আসামী দেবিদ্বার উপজেলা  স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর জানান, হামলার ঘটনায় এজহার নামীয় ৯জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪০/৫০জনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মামলা তদন্ত ও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।