আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর বাজারে পাম অয়েল বিক্রি করা যাবে না। সয়াবিন তেল বলে পাম অয়েল বিক্রির তো প্রশ্নই আসে না। একইসঙ্গে খোলা সয়াবিন বিক্রিও শিগগিরই বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বাণিজ্য সচিব বলেন, পাম অয়েল খোলাবাজারে পাওয়া যায় না, সয়াবিন তেল হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে, সেটা নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগ আছে। এক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটা আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয় এটা দেখে।
তিনি বলেন, যেহেতু সয়াবিন তেলের দাম কমে যাচ্ছে, তাই কিছুদিনের মধ্যে এটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো। সেক্ষেত্রে সয়াবিন তেল খোলা পাওয়া যাবে না। প্যাকেটে বিক্রি করতে হবে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে ৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণের অংশ হিসেবেই আজকে এ মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। রড-সিমেন্টের দামের কথা বেশি আলোচিত হয়েছিল। সেটা নিয়ে তারা কাজ করছে। বিভিন্ন তথ্য নিতে হয়। চাল, আটাসহ অন্য সব পণ্য নিয়ে কৃষিপণ্য বিপণন আইন ২০১৮ রয়েছে। সেই অনুযায়ী কৃষি মন্ত্রণালয় দাম নির্ধারণ করবে। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৫৬ সালের আইন অনুযায়ী কিছু পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে। কিন্তু ২০১৮ সালের আইন অনুযায়ী- এ ৯টি পণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কৃষি মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে। এ বিষয়ে আমাদের সমন্বয় করতে হবে বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব।