ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন
Published : Wednesday, 12 October, 2022 at 12:04 PM
ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদনবাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। তার স্ত্রী ইসরাত জাহান মাসিক ভরণপোষণ ও সন্তানদের পড়ালেখার খরচের দাবি করে যে মামলা দায়ের করেছেন, সেই মামলায় এই আবেদন করা হয়।   

বুধবার (১২ অক্টোবর) মামলাটি শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন আল-আমিন আদালতে হাজির না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। অপরদিকে আল আমিনের  স্ত্রী ইসরাত জাহানের আইনজীবী গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এবিষয় আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানান।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) স্ত্রী ইসরাত জাহানের মাসিক ভরণপোষণ ও সন্তানদের পড়ালেখার খরচের দাবি করার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে জবাব দাখিল করেন আল আমিনের আইনজীবী। এরপর আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

জবাবে আল আমিন উল্লেখ করেন, গত ২৫ আগস্ট স্ত্রীকে তিনি তালাকের নোটিশ দিয়েছেন। তিনি মোহরানা ও খোরপোষ দিতে রাজি আছেন। আর দুই সন্তানের খরচ তিনি নিয়মিত দিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। পরে বিচারক শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করে জামিনের জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে এ মামলাটি করেন আল আমিনের স্ত্রী। মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক ইসরাত জাহান ও আল আমিন বিয়ে করেন। তাদের দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজি ভার্শনে কেজিতে পড়ালেখা করছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল-আমিন স্ত্রী-সন্তানদের ভরণপোষণ দেন না। খোঁজও নেন না। যোগাযোগও করেন না তিনি।

অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। তার সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে জানান। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।

এরপর গত ৩ সেপ্টেম্বর আল-আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সঙ্গে সংসার করবেন না এবং সন্তানদের ভরণপোষণ দেবেন না। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের করে দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেবেন।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে আসক্তির কারণেই আল আমিন এমন কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী। তিনি অভিযোগে বলেন, আল-আমিন এক নারীর সঙ্গে ওঠানো ছবি তার কাছে পাঠিয়েছে। তিনি স্ত্রী-সন্তানদের বাসা থেকে বের করে অন্যত্র বিয়ে করবেন বলেও জানিয়েছেন। দুই বছর ধরে আসামি বাদীর খোঁজখবর নেন না এবং বাসায় নিয়মিত থাকেন না। যে কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অধিকারসহ মাসিক ভরণপোষণ দাবি করে মামলাটি করেন।

ইসরাত জীবন ধারণের জন্য প্রতি মাসে ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া বাবদ ৬০ হাজার টাকা আল আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় উল্লেখ করেন।