কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুন্সিরহাট সিনিয়র মাদরাসার দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে ২ জনকে আটক শেষে পুলিশে কাছে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। আটককৃতরা হলো-মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের অলি আহম্মেদের ছেলে মোঃ হৃদয়(২৬)ও শুভপুর ইউনিয়নের কৈয়ারধারী গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে কামরুল(১৯)। বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষার্থীর মায়ের দায়ের করা মামলায় দুই যুবককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা।
চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে শিক্ষার্থীর মা ইয়াসমিন বেগম উল্লেখ করেন, বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিল হৃদয় ও কামরুল। এ কারণে তাঁর মাদরাসায় যাওয়া প্রায় বন্ধ ছিল। নির্বাচনী পরিক্ষা থাকায় গত বুধবার সকালে মেয়েকে নিয়ে মাদরাসায় পরীক্ষা দেয়ার জন্য যায়। পরীক্ষা শেষে মেয়েকে নিয়ে অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে বাসন্ডা রাস্তার মাথায় হৃদয় ও কামরুলসহ আরো দুইজন মিলে গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তারা মেয়েকে জোরপূর্বক সিএনজি বেবি টেক্সিতে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। তাদেরকে বাঁধা দিলে উল্টো ইয়াসমিন বেগমকে ধাঁক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। মা ও মেয়ের চিৎকার শুনে আশ-পাশের লোকজন এসে হৃদয় ও কামরুলকে আটক শেষে থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুই যুবককে আটক করে থানায় আনা হয়। বৃহস্পতিবার ইয়াসমিন বেগম বাদি হয়ে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে হৃদয় ও কামরুলসহ অজ্ঞাত দুইজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে’।