
তাই
গতকাল শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) চা বাগানে টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন হলো।
এতে অংশ নেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামারি
আতাপাত্তু। আজ নয়নাভিরাম সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি
হবেন তারা।
গতকাল শুরুতে সংবাদ সম্মেলনে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করেন দুই
অধিনায়ক। চায়ের দেশে এশিয়া কাপ আর চা বাগানে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন না করলে কী
হয়! তাই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) পরিকল্পনায় ফাইনালে ওঠা দুই
দলের অধিনায়ককে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন শেষে নিয়ে যাওয়া হয় মাঠের পাশে
লাক্কাতুরা চা বাগানে। সেখানে তারা ট্রফি হাতে হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে
দাঁড়িয়েছেন।
যদিও ফটোসেশনকে কেন্দ্র করে বিসিবি ও এসিসির মধ্যে
সমন্বয়হীনতা দেখে গেছে। স্টেডিয়ামের মূল ফটক থেকে কিছুদূর এগিয়ে ফটোসেশনের
পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু মূল ফটকের সামনে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা না
থাকায় বিসিবির কর্মকর্তারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। যদিও বিষয়টি বেশিদূর গড়ায়নি।
আশেপাশের মানুষজনকে সরিয়ে ঠিকঠাকভাবেই ফটোসেশন সম্পন্ন করা হয়। এমন একটি
ফটোসেশনে যেমন পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন ছিল, তার অভাব স্পষ্ট হয়ে ধরা
দিয়েছে।
স্টেডিয়ামের মূল ফটকের পাশে আবাসিক কিছু বাড়িঘর। সেখানে যততত্র
কাপড় শুকাতে দিয়েছেন বাসিন্দারা। নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামের সামনে এমন চিত্র
ছিল অস্বস্তিকর। দুই অধিনায়কেরও এমন দৃশ্য দেখে বিব্রত লাগারই কথা।
এসিসির
মিডিয়ার ম্যানেজার ফরহাদ কোরেশির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ফটোসেশনে
সমন্বয়হীনতা কেন? তার উত্তর, ‘এসিসির পরিকল্পনার অংশ ছিল এটা। আমাদের
টাইমিংয়ে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। ওই সময়টাতে দুই অধিনায়ককে যে জায়গায় নিয়ে
যাওয়ার কথা ছিল, সেখানে না নিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। যখন ফিরে আসে,
তখন কিছুটা সমন্বয়হীনতার কারণে একটু সমস্যা হয়েছে। আমাদের এখানে সময় লাগতো
পাঁচ মিনিট। কিন্তু অন্য জায়গায় নেওয়ার কারণে ১০ মিনিট সময় নষ্ট হয়। আমরা
স্টেডিয়ামের বাইরে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ককে নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। আর অন্যদিকে
ভারতের অধিনায়ক মূল মাঠের অন্যপ্রান্তে গিয়ে অপেক্ষা করছিল। পরে যখন
এসেছে, তড়িঘড়ি করতে গিয়ে সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। এর বাইরে কিছু না।’
স্টেডিয়ামের
একদিকে টিলা। অন্যদিকে দিগন্ত বিস্তৃত চা-বাগান। সেখানেই এশিয়া কাপের দুই
ফাইনালিস্ট ফটোসেশনে অংশ নিয়ে আবারও মাঠে ফিরে আসেন।