জেলা পরিষদ নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা সন্তুষ্ট। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও থেকে আমরা অনিয়ম সহিংসতা, গোলযোগ বা গণ্ডগোলের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।
আজ সোমবার দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হাওয়ার পর নির্বাচন ভবনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা টেলিফোনেও সংবাদ পেয়েছি নির্বাচনটি সুন্দর হয়েছে। সিটি টিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ আমাদের জন্য নির্বাচন পরিচালনায় একটি নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। এটি আগামীতে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুযোগ করে দেবে।
আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে—ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে কিনা। আপনারা দেখেছেন আজকে ভোটকক্ষে কোনো দ্বিতীয় ব্যক্তি যায়নি। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের অবস্থানের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, প্রথম থেকেই বলে আসছি আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে—ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে কিনা। আপনারা দেখেছেন আজকে ভোটকক্ষে কোন দ্বিতীয় ব্যক্তি যায়নি। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। আমরা পর্যবেক্ষণটাকে আরো সমৃদ্ধ করেছি। ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের বিষয়টি নির্বাচনী সাংস্কৃতিকে কোনো নেতীবাচক প্রভাব পড়বে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিশ্লেষণে আমরা এখনো যাইনি। আর এটা আমাদের বিষয় নয়। এটা রাজনীতিবিদরা বুঝবেন। আমরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।
এমপিরা নির্বাচনী কেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে ইসির কাছে কোনো তথ্য নেই বলেও জানান সিইসি।
বড় পরিসরে সিসিটিভির সক্ষমতার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা ছোট পরিসরে এবার সিসিটিভি ব্যবহার করেছি। বড় পরিসরে বড় সক্ষমতার দরকার হয় সেই ধরনের বড় সক্ষমতা তৈরির চেষ্টা আমাদের নিশ্চয়ই থাকবে। এটা তখনই দেখা যাবে।
এর আগে সকাল ৯টায় নির্বাচন শুরু হলে সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা ঢাকায় বসে সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন।
