
বাংলাদেশ সফরে
ভারতের সূচি চূড়ান্তই ছিল। বৃহস্পতিবার এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ২০১৫ সালের
পর বাংলাদেশ সফরে আসছে দলটি। আগামী ১ ডিসেম্বর দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে
খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে রোহিত শর্মারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ-ভারতের
সিরিজ শুরু হবে ওয়ানডে দিয়ে। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ
ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ নয়। এমন অবস্থায় ভারত খর্বশক্তির দল পাঠালেও অবাক
হওয়ার কিছু থাকবে না। কেননা ২০১৪ সালে ধোনি-কোহলিকে বিশ্রাম দিয়ে রায়নাকে
অধিনায়ক করে দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড
(বিসিসিআই)। পরের বছর অবশ্য মূল দল এসেও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে ২-১
ব্যবধানে হেরেছিল ভারত।
ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ না হলেও টেস্ট সিরিজ
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। যেখানে প্রতিটি পয়েন্টের মূল্য অনেক। ওয়ানডেতে
দ্বিতীয় সারির দল পাঠালেও টেস্টে সেটি হয়তো করবে না ভারত।
১ ডিসেম্বর
ঢাকায় পা রেখে ৩ দিন বিশ্রাম নিয়ে ৪ ডিসেম্বর প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে দুই
দল। সিরিজের শেষ দুটি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ৭ ও ১০ ডিসেম্বর। তিন ম্যাচ
ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে হবে দুই দলের প্রথম টেস্ট। ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর
ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় টেস্ট ঢাকায় ২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর।
ভারতের
বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক
সময় বাংলাদেশ ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই উত্তেজনা ছড়ায়, অনেক
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। দুই দেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য
আরও একটি স্মরণীয় সিরিজ অপেক্ষা করছে। সূচি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সফরে আসার
জন্য আমি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা ভারতকে স্বাগত
জানাতে মুখিয়ে আছি।’
এদিকে বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ বলেছেন,
‘ভারতের সঙ্গে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে
শুভেচ্ছা জানাই। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ
তৈরি করে। আমরা জানি, বাংলাদেশের সমর্থকরা কতটা আবেগপ্রবণ। আমি আশা করি লাল
বল, সাদা বলের ক্রিকেটে দারুণ ক্রিকেট উপহার দেবে বাংলাদেশ।