ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকের সাথে অশোভন আচরণ
অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতির হুমকি---
Published : Monday, 24 October, 2022 at 12:00 AM, Update: 24.10.2022 1:31:42 AM
কুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকের সাথে অশোভন আচরণকুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের একজন নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের সাথে মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের অশোভন আচরণ ও পা ধরে মাপ চাওয়ানোর ঘটনার বিচার ও যথোপযুক্ত ব্যখ্যা দাবি করেছেন কুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসক চিকিৎসক পরিষদ। পাশাপাশি ওই সহকারী অধ্যাপকের অপসারণেরও দাবি জানিয়েছেন তারা। তাদের এ দাবি মেনে না নিলে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা একত্রে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সোমবার সকাল ১০টায় তাদের সেই আল্টিমেটাম শেষ হবে।
কুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার কামরুজ্জামান খোকনের চেম্বার থেকে পাঠানো এক রোগীকে মেডিসিন ইউনিটে ভর্তি করার জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে দায়িত্বরত নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক ওই রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে তাকে মেডিসিনে ভর্তি না করে সার্জারি ইউনিটে রেফার করেন। কারণ হিসেবে ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক বলছেন, রোগীকে দেখে মনে হয়েছে রোগীর ডায়বেটিক ফুট আছে। এটি সার্জারীর অধীনে থাকলেই ভালো হবে।
কিন্তু এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান খোকন ইন্টার্ন চিকিৎসককে অফিসে ডেকে অন্যান্য অধ্যাপক ও ট্রেইনি ডাক্তারদের সামনে দুর্ব্যবহার করেন এবং পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেন।
নিজের ভুল স্বীকার করে ‘স্যরি’ বলার পরও একজন নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রতি এমন আচরণের কারণে ফুসে উঠেছেন কুমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও এইরকম আচরণের ব্যখ্যা দাবি করেন। এ বিষয়ে তারা কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. হৃদয় রঞ্জন নাথ জানান, একজন নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রতি এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি এমন অশোভন আচরণের বিচার ও ঘটনার যথোপযুক্ত ব্যখ্যা দাবি করে পরিচালক মহোদয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। অতিসত্তর অভিযুক্তের অপসারণ করার দাবি জানাচ্ছি। তা নাহলে কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়া হবে।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন জানান, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা ঠিক হয়নাই। এ ধরনের আচরণ আমরা সাপোর্ট করি না। পায়ে ধরার বিষয়টা কোনোভাবেই ঠিক হয় নাই।
অভিযুক্তকে অপসারণের বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওনি (অভিযুক্ত) তো অধ্যক্ষের আন্ডারে। এ সিদ্ধান্ত আমার না, অধ্যক্ষ আসতেছে, তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন।’