চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগরে ড্রেজারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া ড্রেজারের ভেতর থেকে বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালে তিন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুর রহমান সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সকালে উদ্ধার হওয়া তিন শ্রমিক হলেন—পটুয়াখালী সদরের সদর উপজেলার চর জৈনকাঠি গ্রামের আনিচ মোল্লার ছেলে ইমাম মোল্লা, আবদুল হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মোল্লা, সেকান্দার বারির ছেলে জাহিদ বারি।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ড্রেজারডুবির স্থান থেকে আল আমিন নামে এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয় তিনি। তিনি একই এলাকার ফকির রহমানের ছেলে।
ইউএনও মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘উদ্ধারকারী ডুবুরি দল সাগরে ডুুবে যাওয়া ড্রেজার থেকে তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে। তাদের শরীর ফুলে গেছে। ড্রেজারডুবির ঘটনায় এ নিয়ে চার জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এখনও নিখোঁজ চার জন।’
মীরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে একজনের লাশ উদ্ধারের পর রাত ১২টায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ সকাল ৯টা থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান চলছে। আরও তিন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদেরও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
ড্রেজারডুবির ঘটনায় বেঁচে ফেরা শ্রমিক মো. সালাম জানান, সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে তীব্র বাতাস ও ঢেউয়ে সৈকত-২ নামে তাদের ড্রেজারটি মীরসরাই উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে যায়। ড্রেজারের মালিক সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানকে মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে নিয়োগ দিয়েছে বেপজা। ড্রেজারটিতে থাকা ৯ শ্রমিকের মধ্যে তিনি কিনারে আসতে পারলেও বাকি আট শ্রমিক আটকা পড়েন।
এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ চার শ্রমিক হলেন—পটুয়াখালী সদর উপজেলার চর জৈনকাঠি গ্রামের মোল্লা বাড়ির আবদুর রহমানের ছেলে তারেক মোল্লা, আনিচ মোল্লার দুই ছেলে শাহীন মোল্লা, ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে বসার হাওলাদার ও নুরু সর্দারের ছেলে আলম সর্দার।