ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
অটোরিক্সা চালকের দুই ছেলের দায়িত্ব নিলেন এলজিআরডি  মন্ত্রী 
Published : Friday, 9 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 10.04.2021 12:26:42 AM
অটোরিক্সা চালকের দুই ছেলের দায়িত্ব নিলেন এলজিআরডি  মন্ত্রী  আবুল কালাম আজাদ ঃ
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের মানরা গ্রামের অটোরিক্সা চালক বিল্লাল হোসেনের দুই ছেলে আরিফুল ইসলাম ও শরীফুল ইসলামের লেখা-পড়ার খরচসহ সকল দায়িত্ব নিলেন এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি। সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি এলজিআরডি মন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার অটো রিক্সা চালকের বাড়িতে প্রতিনিধি দল পাঠান এবং তাদের মাধ্যমে আরিফ ও শরীফকে অভিনন্দন জানান।
এসময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা, এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপির পক্ষ থেকে অটোরিক্সা চালক বিল্লাল হোসেনের হাতে নগদ ১ লক্ষ টাকা তুলে দেন এবং এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ওই দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়ালেখা শেষ করা পর্যন্ত যাবতীয় শিক্ষা খরচসহ দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে জানান। প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য মাস্টার আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী মো. কামাল হোসেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাসনাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, হাসনাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি মহোদয়ের উন্নয়ন সমন্বয়কারী ও উপজেলা যুবলীগ নেতা মোঃ কামাল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান মনোহরগঞ্জের মানরা গ্রামের অটোরিক্সা চালক বিল্লাল হোসেনের দুই ছেলে আরিফুল ইসলাম ও শরীফুল ইসলামকে অস্টম শ্রেণি থেকেই বিভিন্ন সময়ে আর্থিক সহযোগিতা করে আসছিলেন আমাদের প্রিয় নেতা মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি। আরিফ ও শরীফ এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার খবর পেয়ে তিনি খুশি হন এবং তাদেরকে অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি আরিফ ও শরীফকে ভর্তির জন্য  প্রাথমিকভাবে নগদ ১ লক্ষ টাকা সহযোগিতা প্রদান করেন এবং তারা যেন নির্বিঘেœ পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য তিনি তাদের সম্পূর্ণ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কামাল হোসেন আরো জানান, মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি মহোদয় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের সুখ-দুখের নিয়মিত খবর রাখেন এবং তাঁর সাধ্যানুযায়ী সকলের সুখ-দুখের অংশিদার হওয়ার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া আরিফ ও শরীফের গর্বিত পিতা বিল্লাল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভাইরে আমি একজন অসহায় মানুষ। আমার ছেলেরা অস্টম শ্রেণি পাস করার পর থেকে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা মোঃ তাজুল ইসলাম মন্ত্রী মহোদয় তাদের পড়ালেখার খরচের জন্য বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা করে আসছেন। যা আমার ছেলেদের প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। আমাদের প্রিয় নেতা মোঃ তাজুল ইসলাম মন্ত্রী মহোদয় আজকের যে সহযোগিতা করেছেন এবং আগামীদিনেও আমাদের দায়িত্ব নিয়েছেন আমি সারাজীবন আমার প্রিয় নেতার কাছে ঋণী থাকবো এবং আমার ছেলেদেরকে অসিয়ত করে যাবো তারা যেন তাদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গঠন করে আমাদের প্রিয় নেতা মোঃ তাজুল ইসলাম মন্ত্রী মহোদয়ের মত সাধারণ মানুষের পাশে থাকে। উল্লেখ্য, মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের মানরা গ্রামের অটোরিক্সা চালক বিল্লাল হোসেনের জমজ দুই ছেলে আরিফুল ইসলাম ও শরীফুল ইসলামের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন তাদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়।