ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দিতে হবে
Published : Tuesday, 5 January, 2021 at 12:00 AM
ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দিতে হবেএকেবারে দোরগোড়ায় এসে গেছে করোনাভাইরাসের টিকা। সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার সঙ্গে ভারত বায়োটেকের তৈরি টিকা সে দেশে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে যাওয়ায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু করা যাবে বলে আশা করছে দেশটির সরকার। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে কলকাতাসহ তিনটি স্থানে টিকা দেওয়ার মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য গত ৩০ ডিসেম্বর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর এই টিকা আর্জেন্টিনায়ও অনুমোদন পায়। কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আনার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। প্রকাশিত এক খবরে জানা গেছে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনার জন্য ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসাবে ব্যাংকে জমা দেওয়া হচ্ছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠাবে সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারত থেকে টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহের জন্য গত আগস্টে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় দেশের ওষুধ খাতের শীর্ষ কম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে দেশে এই টিকার অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরকারকে সরবরাহ শুরু করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রের বরাত দিয়ে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে আরো বলা হয়েছে, টিকা নিয়ে আসার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় এই টিকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোথায় কোথায় আগে টিকা পাঠানো হবে সেই ছক তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি, সেই এলাকাগুলোতে আগে টিকা পাঠানো হবে বলেও জানা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ল্য, টিকা দেশে পৌঁছানোর পর তা যেন দ্রুত মানুষকে দেওয়া সম্ভব হয়। টিকা আনার পাশাপাশি টিকা বিতরণ ও টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মাঠপর্যায়ের কর্মীদের জন্য প্রশিণ নির্দেশিকা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। একইভাবে যোগাযোগসামগ্রী তৈরির কাজও চলছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এসব চূড়ান্ত হবে বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।
এখন সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে টিকা ব্যবস্থাপনা। সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করার পাশাপাশি টিকা সংরণের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবার জন্য টিকা নিশ্চিত হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারেও কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।