দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪ মৃত্যু
Published : Tuesday, 5 January, 2021 at 12:00 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৯১০ জন। সোমবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ৯১০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ১৬ হাজার ৯২৯ জন হয়েছে।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৬৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৯১৭ হাজার জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৬১ হাজার ৫১৫ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ কোটি ৫১ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ লাখ ৪৩ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৬তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৪টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৬টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৪০টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৮০টি ল্যাবে ১২ হাজার ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩২ লাখ ৭২ হাজার ৪২৩টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮৯৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৩০টি। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ আর নারী ৬ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ১৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ও ১০ বছরের কম ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৭ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন করে মোট ৪ জন চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের এবং ৩ জন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৬৫০ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৮১৫ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৮৩৫ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৪ হাজার ১৮২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৯৪০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৯৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৮০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬০ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৪ হাজার ২০৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪১৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৪১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৩৬ জন খুলনা বিভাগের, ২৩৮ জন বরিশাল বিভাগের, ২৯৩ জন সিলেট বিভাগের, ৩৪৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৭১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।