ফারুক
আল শারাহ: কুমিল্লায় মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরো ১ জন
প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬২ জনে। জেলায় নতুন
করে আরো ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে জেলায় করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা
হলো ৯,০৬৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮,৩৬৩ জন।
জেলা সিভিল
সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সোমবার (৪ জানুয়ারি)
কুমিল্লায় ১৩৮টি নমুনার রিপোর্ট আসে। আগত রিপোর্টে ১২ জনের পজিটিভ ও ১২৬টি
নেগেটিভ। আক্রান্তদের মধ্যে সিটি করপোরেশন ৫ জন, আদর্শ সদর ৬ জন ও বরুড়া
উপজেলার ১ জন।
জেলায় একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ জন মৃত্যুবরণ
করেছেন। ৫৫ বছর বয়সী পুরুষ ব্যক্তির বাড়ি জেলার বুড়িচং উপজেলায়। জেলায়
একদিনে ১০ জন করোনা সংক্রমিত রোগী সুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে সিটি করপোরেশন
৬ জন, ও বুড়িচং উপজেলার ১ জন।
সূূত্রে জানা যায়, সোমবার (৪
জানুয়ারি) কুমিল্লা জেলায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৯৪টি। এ পর্যন্ত জেলায়
সর্বমোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪৮,৭৩৮টি। তার মধ্যে রিপোর্ট এসেছে ৪৮,২৮৭টি।
এখনো রিপোর্ট প্রক্রিয়াধীন ৪৫১টি। প্রাপ্ত রিপোর্টে পজিটিভ ৯,০৬৭ জন এবং
নেগেটিভ ৩৯,২২০টি। তাদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে
সুস্থ হয়েছেন ৮,৩৬৩ জন। এখনো হোম আইসলোশান ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৩৭
জন।
কুমিল্লা জেলা করোনা প্রতিরোধ সমন্বয়ক ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী
জানান, জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের
মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ করোনা আক্রান্ত
রোগী পূর্ব থেকেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা,
হৃদরোগ সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, যারা এসব জটিল
রোগে ভূগছেন তাদেরকে চলাফেরায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
করোনামুক্ত থাকার জন্য যা করনীয় তার সবটাই মেনে চলতে হবে। আর তারা আক্রান্ত
না হলে মৃত্যুর হারও অনেক কমে আসবে।
ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন,
চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের আগে ফ্রন্টলাইন
ফাইটার বলা হতো। আমি মনে করে, এখন প্রতিটি নাগরিকই ফ্রন্টলাইন ফাইটার।
নিজের, পরিবারের ও অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। অবশ্যই
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আর তা মেনে চলতে পারলেই করোনা সংক্রমণ রোধের
পাশাপাশি মৃত্যুর হারও দ্রুত কমে আসবে।