ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মিলেছে ধর্ষণের আলামত
Published : Saturday, 9 January, 2021 at 12:36 PM, Update: 09.01.2021 12:40:36 PM
মিলেছে ধর্ষণের আলামতরাজধানীর কলাবাগানে স্কুলছাত্রী আনুশকা নূর আমিনের (১৭) মৃত্যু রহস্য খুলতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ময়নাতদন্তে তাকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। অতিরিক্ত রক্তপাতে তার মৃত্যু হওয়ার কথা জানা গেছে। 

ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণে স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এজাহারে ওই কিশোরীর বাবা উল্লেখ করেছেন, ধর্ষণের ঘটনা লুকাতে চেয়েছিল ইফতেখার ফারদিন দিহান। এজন্যই মেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে সে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

গত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় মামলাটি করেন ওই ছাত্রীর বাবা। গতকাল বিকালে মেয়েটির ময়নাতদন্ত শেষে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। যৌন ও পায়ুপথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
মামলার এজাহারে মেয়েটির বাবা বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় আমার স্ত্রী অফিসে এবং আমি সকাল সাড়ে ৯টায় ব্যবসায়িক কাজে বের হয়ে যাই। পরে আমার মেয়ে আনুশকা নূর বেলা সাড়ে ১১টায় তার মাকে ফোন দিয়ে বলে, সে কোচিংয়ের পেপার্স আনতে বাইরে যাচ্ছে। দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দিহান আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলে, আমার মেয়ে তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেছে। এ কথা শুনে আমার স্ত্রী দুপুর ১টা ৫২ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে পারেন মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে। পরে আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পারি দিহান আমার মেয়েকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। দিহান ফাঁকা বাসায় আমার মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে মেয়ে অচেতন হয়ে যায়। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে দিহান চালাকি করে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে যায় তিন-চারজন। স্কুলছাত্রীর সঙ্গীরা দাবি করে, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে সে মারা গেছে।