চুরির অপবাদ দিয়ে পটুয়াখালীর দশমিনায় মোসা. সকিনা বিবি (৭০) নামে এক
বৃদ্ধ মাকে পিটিয়েছে আহত করেছেন একমাত্র ছেলে। দাদিকে মারার প্রতিবাদে ওই
ছেলেকে পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তার সন্তানরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীপুর
গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই সকিনা বিবি দশমিনা হাসপাতালে ব্যথার যন্ত্রণায়
কাতরাচ্ছেন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীপুর
গ্রামের সকিনা বিবির স্বামী কাসেম মুসুল্লি ১০ বছর আগে মারা যান। মারা
যাওয়ার পর সকিনা বিবি তার একমাত্র ছেলে মো. হাবিবুর রহমানের নামে সিংহভাগ
সম্পত্তি লিখে দেন। হাবিবুর পর্যায়ক্রমে দুটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর
সাথে তার মনমালিন্য চলছে। আর দ্বিতীয় স্ত্রী জায়েদা বেগমের সঙ্গেই একটি ঘরে
তার সংসার।
হাবিবুর যে ঘরে থাকেন সেই ঘরের বারান্দায় হাবিবুরের প্রথম স্ত্রীর বড়
ছেলে মো. সায়েমের স্ত্রী কন্যার সঙ্গে ঠাই হয়েছে বৃদ্ধ মা সকিনা বিবির।
সায়েম তার বাবার সঙ্গে একই ঘরে থাকলেও তাদের সাংসারিক কার্যক্রম আলাদা।
সকিনা বিবির অভিযোগ, হাবিবুর দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে তাকে বিভিন্ন
সময় নির্যাতন করত তাকে। ঘটনার দিন সকালে হাবিবুর ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী
জায়েদা বেগম সকিনা বিবিকে ভাত চুরির অপবাদে পিটিয়ে আহত করেন। পরে দাদিকে
মারধর করার প্রতিবাদে হাবিবুরের প্রথম পক্ষের সন্তান মো. সায়েম, শামিম ও
শাহিন তাকে উত্তমমধ্যম দিয়ে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কান্না বিজড়িত কণ্ঠে সকিনা বিবি যুগান্তরকে জানান, এর আগেও হাবিবুর
একাধিক বার তাকে মারধর করেছিল। অনেক কষ্টে তিনি সন্তানকে বড় করেছিলেন। অথচ
সেই সন্তান তাকে পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বলে তিনি কেঁদে দেন।
এ ঘটনায় হাবিবুর ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জায়েদা বেগমও দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি।
দশমিনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ. সালাম মোল্লা বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।