Published : Monday, 11 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 11.01.2021 2:09:10 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেছেন, সমাজের যে কোন
সমস্যাই পুলিশের একার পক্ষে নিরসন করা সম্ভব নয়। তাই আমি কুমিল্লায় সকল
শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতিনিধির সাথে একে একে আলোচনা করছি। আরো অনেকের
সাথেই আলোচনা ও মতবিনিময় করবো। সমস্যা চিহ্নিত করছি এবং তার জন্য প্ল্যান
করছি। আমি আসার পর ইতিমধ্যে আমরা ছিনতাই ও মাদকের বিষয়ে কঠোর ভাবে কাজ
করছি। আমরা জানি মাদকের একটি বড় অংশ চোরা চালান হয়ে থাকে, এজন্য আমি
বিজিবির সাথে মত বিনিময় করবো। উৎসমূলে যদি আঘাত আনা যায় তাহলে মাদক
অনেকাংশেই নির্মূল সম্ভব।
তিনি গতকাল জেলা আনিশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি
আরো বলেন, যেখানে ডাকাতির প্রবণতা আছে সেখানে পুলিশ জনতার যৌথ উদ্যোগ
গ্রহন করা যেতে পারে। কুমিল্লায় যানজটের ১৭টি কারনের মধ্যে শুধুমাত্র ৩টি
কারণ পুলিশ সংশ্লিষ্ট। সুতরাং এই সমস্যা সমাধানে পুলিশকে অন্যান্য কারনের
সাথে জাড়িত প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তিই পারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে।
পুলিশ
সুপার আরো জানান, কুমিল্লায় জেলায় ১২০০জন জনবলের বিপরীতে একজন পুলিশ-
সুতরাং এই হজনবল দিয়ে আইশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে সাধারণ মানুষ ও জনপ্রতিনিধিদের
সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
জেলাপ্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীরের সভাপতিত্বে
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান, আঞ্জুম সুলতানা সীমা,
কুমিল্লা জেলা পিপি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম, কুমিল্লা জেলা মৎস
কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন, র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর তালুকদার
নাজমুস সাকিব, আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা মো. মোস্তাক আহমদ, কুমিল্লা জেলা
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ, কুমিল্লা সদর
উপজেলার চেয়ারম্যান এড. আমিনুল ইসলাম টুটুল, লাকসাম উপজেলার চেয়ারম্যান এড.
ইউনুছ ভুঁইয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও দপ্তর
প্রধানগণ।