উপবৃত্তি নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের জরুরি নির্দেশনা
Published : Wednesday, 13 January, 2021 at 12:00 AM
তথ্য না পাঠানো, ভুল তথ্য পাঠানো, ডাবল এন্ট্রি, বৃত্তি পাবে না এমন শিক্ষার্থীর তথ্য পাঠানোর ঘটনায় কোনও শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা না পেলে তার দায় নিতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারকে। তাই নির্ভুল তথ্য আগামী ১৬ জানুয়ারির মধ্যে জরুরিভাবে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এ সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।
সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়, সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ২০১৯-২০২০ সেশনের একাদশ ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১০ জন শিক্ষার্থীর তথ্য পেন্ডিং রয়েছে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে। আর উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিকট পেন্ডিং রয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭১ জন শিক্ষার্থীর তথ্য। এই তথ্য আগামী ১৬ জানুয়ারির মধ্যে পাঠাতে ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টকা না পেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসাররা দায়ী থাকবেন।
অফিস আদেশ উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলা হয়, ‘অযোগ্য শিক্ষার্থীদের তথ্য (যদি থাকে) উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরত পাঠাবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অযোগ্য, ভুল বা ডাবল এন্ট্রি, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ইত্যাদি কারণে অতিরিক্ত এন্ট্রি করা শিক্ষার্থীদের তথ্য এইচএসপি ও এমআইএস সার্ভার থেকে নিষ্ক্রিয় করবেন।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (আগামী ১৬ জানুয়ারি) কোনও যোগ্য শিক্ষার্থীর তথ্য না পাঠানোর কারণে উপবৃত্তি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।