ইরানের নৌবহরে যুক্ত হলো অন্তত পাঁচটি হেলিকপ্টার বহনে সক্ষম বিশাল এক যুদ্ধজাহাজ। আইআরআইএনএস মাকরান নামের জাহাজটি তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে। বর্তমানে এটাই ইরানি নৌবহরের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ।
২২৮ মিটার (৭৪৮ ফুট) দীর্ঘ জাহাজটি আগে তেলের ট্যাংকার ছিল। পরে সেটিকে যুদ্ধজাহাজে রূপান্তরিত করেছে ইরান।
নৌপথে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা, বিশেষ বাহিনী মোতায়েন, সরবরাহ ও পরিবহন সেবা, মেডিক্যাল সহায়তার পাশাপাশি দ্রুতগামী নৌযানগুলোর জন্য ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হবে আইআরআইএনএস মাকরান।
বুধবার ওমান সাগরে ইরানের দুই দিনব্যাপী নৌ মহড়ায় প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আনা হয় বিশাল যুদ্ধজাহাজটি।
ইরানের অ্যাডমিরাল হামজেহ আলি কাভিয়ানি বলেন, এই মহড়ার মাধ্যমে সময়মতো শত্রুপক্ষের সম্ভাব্য হুমকির জবাব দিতে আমাদের দক্ষতার মূল্যায়ন করতে পারছি। পাশাপাশি, নিজেদের দুর্বলতা মোকাবিলা এবং শক্তি বাড়িয়ে দক্ষতার উন্নতি হচ্ছে।
এর আগে, চলতি বছরের শুরুতে প্রথমবারের মতো ড্রোন মহড়া চালায় ইরান। এসময় নিজস্ব তৈরি শত শত ড্রোন প্রদর্শন করেছিল দেশটি।
এছাড়া, গত সপ্তাহে পরস্য উপসাগর উপকূলে একটি ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির কথা প্রকাশ করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। দেশটিতে এধরনের আরও অনেকগুলো ঘাঁটি রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইরান জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষকদের জানিয়েছে, তারা ২০ শতাংশ শুদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত শুরু করতে চলেছে। অবশ্য দেশটির সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে সই করা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র, বিশেষ করে সৌদি আরব ও ইসরায়েল ইরানকে বড় হুমকি বলে মনে করে। তাদের ভয়, তেহরান পারমাণবিক বোমা বহনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য ক্ষমতাগ্রহণের পর ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমন এবং পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা