ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
করোনা শনাক্ত রোগী সোয়া ৫ লাখ ছাড়াল
Published : Friday, 15 January, 2021 at 12:00 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক : পঁচিশ দিনে আরও পঁচিশ হাজার রোগী শনাক্ত হওয়ায় দেশে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮১৩ রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে; তাতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ২৫ হাজার ৭২৩ জনে।
আর গত এক দিনে এ ভাইরাসে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা পৌছছে ৭ হাজার ৮৪৯ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮৮৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৪০৫ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৯ কোটি ২৪ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৯ হাজার।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৫টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৫৬টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৯৯টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৬০৮টি নমুনা পরীা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীা হয়েছে ৩৪ লাখ ১৮ হাজার ১১৪টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীা করা হয়েছে ২৬ লাখ ৯০ হাজার ১৩৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৯৮১টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ আর নারী ৫ জন। তাদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ২ জন বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৮৪৯ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৯৫৪ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৮৯৫ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৩১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৯৮০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯০৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৮৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৯ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৪৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪৪১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৪৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৪১ জন খুলনা বিভাগের, ২৪০ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫০ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।