ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মেঘনা-কাঠালিয়ার নৌপথে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান
Published : Friday, 15 January, 2021 at 12:00 AM
চাঁদাবাজি-ডাকাতি বন্ধ ঘোষণা করলেও গ্রেপ্তার নেই---
মাসুদ আলম।। কুমিল্লার মেঘনা ও কাঠালিয়া নদীতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে দীর্ঘদিনের চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  কুমিল্লার এই দুই নদীর নৌপথে যাতায়াত করা ব্যবসায়ী, মাঝি ও শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন ও বিভিন্নভাবে ফাঁদে ফেলে ডাকাতি করতো একটি শক্তিশালী চক্র। কিন্তু অভিযানে চক্রের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি পুলিশ।
এই চাঁদাবাজি ও ডাকাতির বিষয়ে গত ১০ জানুয়ারি জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার, দাউদকান্দি উপজেলার চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী অভিযোগ তুলেন। সেই অভিযোগের পেক্ষিতে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ তিনি তৎণাৎ নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ প্রদান করেন। তাঁর নির্দেশনা মোতাবেক হোমনা সার্কেল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ ফজলুল করিমের নেতৃত্বে চাঁদাবাজি বন্ধে মেঘনা ও কাঠালিয়া নদীতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা হয়। ফলে মেঘনা ও কাঠালিয়া নৌপথে বন্ধ হয় দীর্ঘদিনের চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সাঁড়াশি অভিযানের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজি বলেন, মেঘনা ও কাঠানিয়া নদীর নৌপথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে চক্রের কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। বন্ধ ঘোষণার পরও পুলিশের অভিযান এই নৌপথে অব্যাহত থাকবে।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় (১০ জানুয়ারি) কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার ও দাউদকান্দির উপজেলার চেয়ারম্যান অভিযোগ তুলে জানান, মেঘনা নদীর নৌপথে দুর্ধর্ষ নৌ ডাকাত দলের উৎপাত বেড়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় মুন্সিগঞ্জ জেলা থেকে আসা ডাকাত সদস্যরা নৌপথে যাতায়াতকৃত ব্যবসায়ী, মাঝি ও শ্রমিকদের থেকে চাঁদাবাজি আদায় করা হয়। বিভিন্ন সময় ফাঁদে ফেলে তাদের সঙ্গে থাকা টাকা, পয়সা ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। আর কোন টলার বা নৌকায় শ্রমিকের কাছে টাকা বা জিনিসপত্র না ফেলে তাদের রান্না ভাতে পানি বা বালু দিয়ে নষ্টের পর মারধর করে।
এছাড়া নদীতে ডাকাতির উৎপাতের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মেঘনা, তিতাস ও দাউদকান্দি নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর।