চিনের ইউহান পরীক্ষাগারের এক বিজ্ঞানী স্বীকার করেছেন, নমুনা সংগ্রহের
সময় তাঁকে বাদুড় কামড়ে দিয়েছিল। চিনের ইউহান পরীক্ষাগার থেকে বেশ কিছুটা
দূরে অবস্থিত একটি গুহায় বাদুড়ের আস্তানা। সেখান থেকে ভাইরাসের নমুনা
সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। বার বার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ দাবি
করেছে, ওই বাদুড় বাহিত ভাইরাসের গবেষণা থেকেই করোনা সংক্রমণ শুরু হয়।
বিজ্ঞানীর এই স্বীকারোক্তিতে সেই কথা আবারও স্পষ্ট হল।
রবিবার প্রকাশিত একটি রিপোর্টে ওই বিজ্ঞানীর বয়ানে লেখা হয়েছে, যে
গ্লাভস পরে ছিলেন তিনি, তার উপর দিয়ে বাদুড় কামড়ে দেয়। বিজ্ঞানী
জানিয়েছেন, একটা ছুঁচ ফোটানোর মতো অনুভূতি হয়েছিল তাঁর।
চিনের গা ছাড়া মনোভাবের জন্য ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, এই অভিযোগের
সমর্থনে আরও প্রমাণ উঠে এসেছে। ২০১৭ সালে চিনের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত
ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গ্লাভস বা পিপিই কিট ছাড়াই পরীক্ষাগারের
কর্মীরা ভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। যা একেবারেই
বিজ্ঞানসম্মত নয়।
সম্প্রতি হু-এর একটি গবেষক দল চিনে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের উৎস খুঁজতে।
দলের সদস্যরা দীর্ঘ টানাপড়েনের পর ইউহান প্রদেশে চিনা পরীক্ষাগারে
যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। যদিও ১৫ সদস্যের দল সেখানে যাওয়ার আগে ঘটেছে
বিপত্তি। দলের দুই সদস্য করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ১৩ জন উপস্থিত হয়েছেন চিনে।
অন্য দিকে, চিনে নতুন করে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। প্রায় আট মাস পর
করোনায় ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নতুন করে একাধিক প্রদেশে সংক্রমণ
রুখতে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন। চিনের দাবি, এবারে সংক্রমণের কারণ বিদেশ
থেকে আমদানি করা দ্রব্য বা আগত মানুষেরা