হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে আলি আব্বাস জাফর পরিচালিত ‘
তাণ্ডব’
ওয়েব সিরিজের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এ বার
অ্যামাজন প্রাইম-এর কাছে জবাবদিহি চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও
সম্প্রচার মন্ত্রক।
গত ১৫ জানুয়ারি অ্যামাজন প্রাইম-এ মুক্তি পেয়েছে এই ওয়েব সিরিজটি।
মুক্তির পর পরই বিতর্কের মুখে পড়েছে সেটি। অভিযোগ উঠেছে হিন্দু ধর্মের
ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে এই ছবিতে। অভিযোগ তুলেছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি
নেতা তথা বিধায়ক রাম কদম। শুধু অভিযোগ তোলাই নয়, হিন্দু ধর্মে আঘাত করার
জন্য সইফ আলি খান এবং অভিনেতা জিসান আয়ুবকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তুলেছেন
তিনি।
‘তাণ্ডব’ ছবির অভিনেতা, পরিচালক এবং প্রযোজকের বিরুদ্ধে রবিবার অভিযোগ
দায়ের করেছেন রাম কদম। তাঁর অভিযোগ, এই সিরিজে হিন্দু দেবতা শিবকে অপমান
করা হয়েছে। এবং প্রতিবারই হিন্দু ধর্ম নিয়ে এমনটাই করা হয়।
রবিবার সকালে টুইট করে তিনি বলেন, ‘ঘাটকোপার থানায় ‘তাণ্ডব’ ছবির
নির্মাতা, পরিচালক এবং অভিনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছি। এই
সিরিজে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। হিন্দু দেবতাকে অপমান করা
হয়েছে’। তিনি আরও লেখেন, ‘কেন বার বার সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজগুলোতে হিন্দু
দেব-দেবীকে অপমান করা হচ্ছে? তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত ‘তাণ্ডব’ ওয়েব সিরিজ’।
এর পরই সিরিজ থেকে ওই বিশেষ দৃশ্য সরানোর দাবি তুলেছেন রাম কদম। টুইটে
তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘যদি ওই দৃশ্য সরানো না হয় এবং অভিনেতা জিসান আয়ুব এবং
পরিচালক যত দিন না ক্ষমা চাইবেন, বয়কট থাকবে এই ওয়েব সিরিজ’। সেই সঙ্গে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের কাছে অ্যামাজন প্রাইম বা
নেটফ্লিক্স-এর মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যে সব ছবি বা ওয়েব সিরিজ দেখানো হয়,
সেগুলোর উপর নজরদারি চালানোর জন্য সেন্সর বোর্ড গঠন করার আর্জিও জানিয়েছেন
রাম কদম।
শুধু রাম কদমই নন, উত্তর-পূর্ব মুম্বইয়ের বিজেপি সাংসদ মনোজ কোটাকও এই
ওয়েব সিরিজের তীব্র সমালোচনা করে জাভড়েকরকে চিঠিতে লিখেছেন, “আমার মনে
হয়, ‘তাণ্ডব’ ছবির নির্মাতারা হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য ইচ্ছা
করেই হিন্দু দেবতাকে অপমান করেছেন।” এই সব ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যৌনতা,
গালিগালাজ, হিংসা-র দৃশ্যতে কোনও সেন্সর করা হয় না। তাই দ্রুত এই ধরনের
ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার আর্জি জানিয়েছেন জাভড়েকরের কাছে।
গত বছরের নভেম্বরেই ‘আ স্যুটেবল বয়’ ছবির একটি দৃশ্য নিয়ে তুমুল হইচই
হয়। মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় একটি মন্দিরে চুমুর দৃশ্য নিয়ে রোষের মুখে
পড়তে হয় পরিচালক এবং নেটফ্লিক্স-কে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল।