দিনের বেলায় সর্বো”চ তাপমাত্রা না থাকা এবং কুয়াশার প্রভাবে সূর্যের আলো প্রকৃতিতে না পৌঁছায় শীত বেশি অনুভব হচ্ছে কুমিল্লায়। সেই সাথে কুমিল্লায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। সোমবার কুমিল্লায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিনদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সাথে আকাশ মেঘলা থাকবে। সেই সাথে ৭২ ঘন্টার মধ্যে গুড়িগুড়ি বা হামলা (৪-১০ মি.মি) বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্র কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পাবে বর্তমান আবহাওয়া।
কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ইসমাইল ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করে। তিনি বলেন, কুমিল্লায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে রেকর্ড করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আকাশ মেঘলাসহ আগামী তিদিনের মধ্যে গুড়িগুড়ি বা হামলা (৪-১০ মি.মি) বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া দিনের বেলায় সর্বো”চ তাপমাত্রা না থাকা এবং কুয়াশার প্রভাবে সূর্যের আলো প্রকৃতিতে না পৌঁছানোর কারণে সন্ধ্যার পর থেকে জুড়ে বসতে থাকে শীত। রাত যত বাড়তে থাকে তাপমাত্রাও তত কমতে থাকে। শুরু হয় শীতে তীব্রতা। এ
কুমিল্লা আবহাওয়া অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, শীতের এই মৌসুমে কুমিল্লয় সর্বনিম্ন ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা নেমে আসে। ৯.৩ থেকে ১০.১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা নামা করলেও সর্বশেষ সোমবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১০-৮ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমার তাপমাত্রা আরও কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। জানুয়ারি মাসে কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে। আশঙ্কা করা হ”েছ জানুয়ারীতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এই ঋতুতে দিনের তুলনায় রাত বড়। শৈত্যপ্রবাহ বা কুয়াশার কারণে সূর্যের কিরণ বাঁধাগ্রস্ত হয়। যার কারণে বিকেল থেকেই শীত অনুভব হতে শুরু করে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় শীতের তীব্রতা। আবার কুয়াশা বেধ করে দিনের বেলায় সূর্যের কিরণ দেখা দিলে স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বেড়ে ২৫-২৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় উঠানামা করে।