এক বছর আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন। করোনার হিসেব মেলালে ক্রিকেট থেকে বাইরে আরও বেশি সময়। কিন্তু সাকিব আল হাসান যেন যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করলেন। কে বলবে, এতটা দিন মাঠে নেই!
সাকিব আসলেই অন্য ধাতুতে গড়া। টাইগার অলরাউন্ডার নিজের রাজ্যে ফিরলেন রাজার মতোই। বোলিংয়ে ঘূর্ণি-বিষ ছড়ালেন, ব্যাটসম্যানদের ঘাম ঝরা ম্যাচে ব্যাট হাতেও খুব একটা খারাপ করলেন না। সবমিলিয়ে বিরতি কাটিয়ে বাংলাদেশের ফেরা আর সাকিবের ফেরাটা আনন্দের উপলক্ষ্য হয়ে রইলো। ক্যারিবীয়দের ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ শুরু করল টাইগাররা।
টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয়ার পর শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে পাওয়ার প্লে’র প্রথম দশ ওভার পেসারদের দিয়েই সারেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এগারতম ওভারে বল তুলে দেন সাকিবের হাতে। নিজের প্রথম ওভারেই দারুণ কিছুর আভাস, সাকিবের ঘূূর্ণিতে অন্তত তিনবার ব্যাটসম্যানের ব্যাটের কানায় লাগে বল। একটুর জন্য উইকেটের দেখা পাননি।
তবে প্রথম ওভারে উইকেট না পেলেও পরে ঘূর্ণিতে ক্যারিবীয়দের ঠিকই কুপোকাত করেছেন সাকিব। প্রথম স্পেলে টানা ৭ ওভার বল করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ক্যারিবীয় ইনিংসের ২৩তম ওভারে যখন আক্রমণ থেকে সরানো হয় সাকিবকে, তখন তার নামের পাশে বোলিং ফিগার ৭-২-৮-৩; এই স্পেলে ৩৪টি বলই ছিল ডট।
পরে সাকিবের গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে তিন উইকেট নেন অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। মেহেদি হাসান মিরাজের ঝুলিতে যায় এক উইকেট। ততক্ষণে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের গুটিয়ে দিতে ৩৩তম ওভারে ফের আনা হয় সাকিবকে। দ্বিতীয় বলেই তুলে নেন ক্যারিবীয়দের শেষ উইকেট। সবমিলিয়ে বোলিং ফিগার দাঁড়ায়ঃ ৭.২-২-৮-৪!
এতো গেল বোলিং ফিগার। ব্যাট হাতেও টাইগারদের অস্বস্তির দিনে খুব একটা খারাপ করেননি সাকিব। ১২৩ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫৭ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে এগিয়ে নিতে ব্যাট হাতে ছিলেন সাবলীল। টাইগারদের স্কোর ১০০ পার করে দিয়ে তবেই ফিরেছেন। সেটাকেও দুর্ভাগ্য বলা যায়। ক্যারিবীয় স্পিনার আদিল হোসেনের বলটা ব্যাটের কানায় লেগে স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। ৪৩ বলে ১ বাউন্ডারিতে সাকিব করেন ১৯ রান।